মার্কিনকে চাপ অগ্রাহ্য করে জিব্রাল্টার ছাড়ল ইরানি ট্যাংকার

যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও ব্রিটিশ মেরিন সেনাদের হাতে আটক ইরানের তেলবাহী ট্যাংকারটি ছেড়ে দিয়েছে জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে ট্যাংকারটি ইরানের পতাকা উড়িয়ে বন্দর ছেড়ে ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলের দিকে যাত্রা শুরু করে।
বিবিসি জানায়, জাহাজটির আগের নাম গ্রেস-১ হলেও এখন সেটি বদলে আদ্রিয়ান দারিয়া-১ রাখা হয়েছে। জাহাজটির গন্তব্য জানা যায়নি।
এদিকে ইরানের তেলবাহী ট্যাংকারটিকে আরও কিছুদিন আটকে রাখতে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাদের সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে জিব্রাল্টার।
গ্রেস-১ নামের তেলবাহী ট্যাংকারটির বিরুদ্ধে জিব্রাল্টার তার আটকাদেশ প্রত্যাহারের একদিন পরই শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র তা বহাল রাখার শেষ অনুরোধ জানিয়েছিল।
জিব্রাল্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, নতুন আটকাদেশ জারি করার ওয়াশিংটনের অনুরোধ তারা রাখতে পারছে না। কেননা ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রযোজ্য নয়।
ট্যাংকার আটকে রাখতে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের আবেদন শেষ মুহূর্তে খারিজ করে দেয় জিব্রলটার আদালত। এর আগে গ্রেস-১ এর আটককে ‘বেআইনি বাধা’ হিসেবে উল্লেখ করে ইরান।
ইরানে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতও বলেছিলেন, গ্রেস- ১ রবিবারের পর জিব্রাল্টার ছেড়ে যাবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে গত ৪ জুলাই ব্রিটিশ মেরিন সেনারা ইরানি ট্যাংকারটি আটক করে। পরে সেটি জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ভারত, রাশিয়া, লাটভিয়া এবং ফিলিপাইনের ২৯ জন ক্রু-সহ ট্যাংকারটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে সিরিয়ায় তেল পরিবহন করছে এমন দাবি করেছিল ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ।
গ্রেস-১ আটকের দুই সপ্তাহ পর ১৯ জুলাই হরমুজ প্রণালিতে ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকার স্টেনা ইম্পেরো জব্দ করে। তখন ইরান দাবি করে, জাহাজটি ‘আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইন’ লঙ্ঘন করেছে। এনিয়ে দুদেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ এসপি