News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ২২ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই পারমাণবিক উপকরণ সরিয়ে নিয়েছিল ইরান

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই পারমাণবিক উপকরণ সরিয়ে নিয়েছিল ইরান

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান দিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা নিশ্চিত করেছে ইরান। তবে হামলার আগেই ওই কেন্দ্রগুলো থেকে পারমাণবিক উপকরণ সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছে দেশটি। ফলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর মতো কোনো উপাদান সেখানে ছিল না।

রবিবার (২২ জুন) সকালে লন্ডনভিত্তিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ওই হামলায় অংশ নেয় বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান। এরপর ইরানের পক্ষ থেকেও নাতাঞ্জ, ইস্পাহান ও ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির উপ-রাজনৈতিক পরিচালক হাসান আবেদিনি বলেন, 'আমরা আগে থেকেই তিনটি পরমাণু কেন্দ্র খালি করে ফেলেছিলাম। যদি ট্রাম্পের দাবি সত্যিও হয়, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হইনি।'

ইস্পাহানের নিরাপত্তাবিষয়ক ডেপুটি গভর্নর আকবর সালেহি জানান, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এসব শহরে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর কাছেই হামলা হয়েছে।

এর আগে ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনাতেও হামলার কথা নিশ্চিত করেছে ইরান। কোম প্রদেশে পাহাড়ের নিচে অবস্থিত এই স্থাপনাটি ইরানের অন্যতম গোপন ও সুরক্ষিত পারমাণবিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

আরও পড়ুন: ইরানের ৩ পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে হামলার কথা নিশ্চিত করে বলেন, 'আমরা ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে সফল হামলা চালিয়েছি। বোমারু বিমানগুলো এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।'

তিনি আরও জানান, ফোরদো কেন্দ্রের ২৬২ ফুট গভীরে ভারী বোমা ফেলা হয়েছে এবং হামলা চালানো সব বিমান যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসছে।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় নজিরবিহীন হামলার পর পাল্টা জবাবে ইরানও ইসরায়েলে বিমান হামলা চালায়। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের কয়েক ডজন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৮০-৮৮ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর এটি ইরানের ভূখণ্ডে সবচেয়ে বড় হামলা।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়