News Bangladesh

শিক্ষা ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:২২, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আপডেট: ১৪:২৫, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘আমাদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

‘আমাদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ বাহাই সেন্টারে বাংলাদেশে এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স অব বাহাই কমিউনিটি এবং শান্তি মিত্র কল্যাণ সংস্থের যৌথ উদ্যোগে “আমাদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব" শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 
শুক্রবারের অনুষ্ঠানে শান্তি মিত্র কল্যাণ সংস্থার সদস্য ও কর্মকর্তারা, বৃহত্তর ময়মনসিংহের বাহাই সম্প্রদায় এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বন্ধুরা একত্রিত হন।

ময়মনসিংহ জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মীর আকরাম উ আহমদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সময়োপযোগী এই উদ্যোগের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ব্যক্তি ও সমাজের কল্যাণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বিচক্ষণতার সাথে ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

এতে শান্তি মিত্র কল্যাণ সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করেন নারী উন্নয়ন সহায়তাকারী সানজানা আফরোজ পপি।

কর্মশালায় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

  • ‘সামাজিক মাধ্যম এবং সম্প্রদায়’বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন মাহমুদুল হক। তিনি এই অধিবেশনে মানুষের মধ্যে সংযোগ জোরদার, যৌথ কর্মকাণ্ডের প্রচার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সম্প্রদায় গঠনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা তুলে ধরেন। ভুল তথ্য এবং মেরুকরণের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে সচেতন না হলে আমাদের মধ্যে সামাজিক বন্ধন দুর্বল হতে পারে।
  • ‘সোশ্যাল মিডিয়া এবং স্বাস্থ্য’বিষয়ে আলোচনা করেন ড, জিনা হামাদানি। তার আলোচনায় তিনি শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং আর্থিক স্বাস্থ্যের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক প্রভাবের উপর আলোকপাত করেন। তিনি স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সুস্থতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এর সম্ভাবনা স্বীকার করার পাশাপাশি তিনি স্ক্রিন আসক্তি, মানসিক চাপ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত ভুল তথ্যের বিপদের ওপর জোর দেন।

আরও পড়ুন: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা

  • অনুষ্ঠানে রহিম সারওয়ার ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ভোগবাদ’বিষয়ে  আলোচনা করেন। তিনি ভোক্তাদের আচরণ, জীবনযাত্রার পছন্দ এবং বস্তুগত আকাঙ্ক্ষার উপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব নিয়ে কথা বলেন। তিনি অংশগ্রহণকারীদের বিজ্ঞাপন এবং ভোক্তা সংস্কৃতি কীভাবে ব্যক্তিগত মূল্যবোধকে পরিবর্তনে ভূমিকা পালন করে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে উৎসাহিত করেন। একই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযম এবং সচেতন ব্যবহারের উপর জোর দেন তিনি।

কর্মশালায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মীর জান্নাতুল ফেরদৌস। আলোচনার পর অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের স্বীকৃতি হিসেবে সনদপত্র প্রদান করা হয়।

ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগানোর সংকল্প নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের মধ্য দিয়ে কর্মশালাটি শেষ হয়।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়