ড্রোন আতঙ্কে হোয়াইট হাউসে সাময়িক অচলাবস্থা
ড্রোন আতঙ্কে গত বৃহস্পতিবার কিছুক্ষণের জন্য হোয়াইট হাউস কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল। এসময় মার্কিন গোয়েন্দারা প্রেসিডেন্ট ভবনের পাশের পার্ক থেকে ছোট্ট একটি ড্রোন আটক করে। একই ঘটনায় আটক করা হয় ওই ড্রোন পরিচালনাকারীকেও। তবে এতসব ঘটনা যখন ঘটছিলো তখন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে ছিলেন না।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের পাশের লাফায়েত্তে পার্কে প্যারট-বিবপ মডেলের একটি ড্রোন ওড়ানোর দায়ে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ওই ড্রোনটি ১০০ (৩৫ মিটার) ফিট ওপর দিয়ে উড়ছিল। দুপুরবেলা মধ্যাহ্নভোজনকালীন সময়ের এ ঘটনায় লোকজনকে দ্রুত সরিয়ে নেয়া হয়। একই কারণে হোয়াইট হাউসের কর্মকাণ্ডও স্বল্প সময়ের জন্য স্থবির হয়ে পড়ে।
মার্কিন গোয়েন্দারা জানান, ক্ষুদ্রাকৃতির ওই ইউএভি (আনম্যান্ড এরিয়েল ভেহিকেল, মুনষ্যবিহীন আকাশযান) অর্থাৎ ড্রোনটিকে দ্রুতই সরিয়ে ফেলা হয় এবং পরিস্থিতি বিপদমুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। চার প্রান্ত বিশিষ্ট লাল রঙের ড্রোনটির একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিও ক্যামেরাযুক্ত এ ধরনের ড্রোন সাধারণের মাঝে বেশ জনপ্রিয়।
এমিরেটস২৪৭ জানায়, ড্রোনটির মালিক ৩৯ বছর বয়স্ক রায়ান ম্যাকডোনাল্ড ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যাকাভাইল এলাকার বাসিন্দা। ফেডারেল আইন ভঙ্গ করার দায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে যে কোনও আকারের ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত সপ্তাহে রাজধানীকে ‘নো-ড্রোন জোন’ ঘোষণা করে প্রচারণাও চালায়।
গত জানুয়ারিতে ডিজেআই ফ্যান্টম ড্রোন নামের আরেকটি কনজ্যুমার ড্রোন হোয়াইট হাউসের আঙ্গিনায় বিধ্বস্ত হয়েছিল। ভোরবেলা একজন সরকারি কর্মচারি ড্রোনটি পরিচালনার সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হয়। বিষয়টিকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি। একই মাসে ম্যাকডোনাল্ডের ড্রোনটির মতো একটি হাল্কা (ওজন প্রায় আধা কেজি) প্যারট বিবপ ড্রোন ক্যাপিটল হিল অফিসে ঢুকে পড়েছিল। ওই সময়টায় ক্যাপিটলে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের শুনানি চলছিল যার বিষয় ছিল- মনুষ্যবিহীন উড়োজাহাজ প্রযুক্তি (আনম্যান্ড এয়ারক্রাফট টেকনোলজি)।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবারের ঘটনার সময়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা ম্যারিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিড অফিসে উপসাগরীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। সেখানে তিনি আরব নেতাদের আশ্বস্ত করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র তার উপসাগরীয় মিত্রদের রক্ষায় প্রয়োজনে সামরিক শক্তির প্রয়োগ করবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/একে
নিউজবাংলাদেশ.কম








