কুয়ালালামপুরে অভিযান, বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ১৯৬ বিদেশি

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের চৌ কিট এলাকায় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে পরিচালিত এক বৃহৎ অভিযানে বাংলাদেশিসহ মোট ১৯৬ জন বিদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। পাকিস্তানি খাবারের রেস্তোরাঁ ও আশপাশের ব্যবসায়িক স্থাপনাগুলো ঘিরে এ অভিযান চালানো হয়।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সরকারি বার্তা সংস্থা বারনামার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রায় ৭০০ মিটার দীর্ঘ এলাকায় বিস্তৃত ৪৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান—রেস্তোরাঁ, খুচরা দোকান ও হোটেলে একযোগে হানা দিয়ে প্রায় ৪০০ জন বিদেশি ও স্থানীয়কে তল্লাশি করা হয়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আট দেশের নাগরিককে আটক করা হয়। এদের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, জর্ডান, নেপাল, ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছেন।

ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ সাংবাদিকদের জানান, অভিযানে তিনজন স্থানীয়কেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অভিবাসী নিয়োগের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

তিনি বলেন, রেস্তোরাঁ পরিচালকেরা বৈধ কর্মীদের আড়ালে অবৈধ অভিবাসীদের কাজে লাগাচ্ছিলেন। আমরা এ ধরনের ধূর্ত কৌশলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।

আরও পড়ুন: ফের জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ছে ইরান

এই অভিযানে ইমিগ্রেশন বিভাগের পাশাপাশি কুয়ালালামপুর সিটি হল (ডিবিকেএল), অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় (কেপিডিএন) এবং রয়েল মালয়েশিয়ান পুলিশ যৌথভাবে অংশ নেয়। অভিযানের সময় ১৯৭৪ সালের আইন ভঙ্গের দায়ে ৫২টি টেবিল ও ২০৪টি চেয়ার জব্দ করা হয়। কেপিডিএন ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচটিকে মোট ৫ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা করে। পাশাপাশি কোম্পানি কমিশন (এসএসএম) আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সাতটি কম্পাউন্ড জারি করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া বিদেশিদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং সংশ্লিষ্ট বিধির অধীনে অবৈধভাবে অবস্থান, মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা ব্যবহার এবং কাজের পারমিটের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আটককৃতদের মধ্যে কোন দেশের কতজন রয়েছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।

পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি আরও বলেন, রাজধানীতে গড়ে ওঠা তথাকথিত ‘ছোট পাকিস্তান’-এর মতো অভিবাসীপ্রধান এলাকাগুলো নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। তিনি সাধারণ জনগণকেও অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য দিতে আহ্বান জানান।