ধূমপায়ীদের জন্য দুঃসংবাদ, আইসক্রিম প্রেমীদের মুখে হাসি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট পেপার আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক হার দ্বিগুণ করে ৩০০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা সিগারেটের উৎপাদন খরচ এবং মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। 

অন্যদিকে, আইসক্রিমের ওপর সম্পূরক শুল্ক হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা এই পণ্যের দাম কমাতে সহায়ক হতে পারে ।

বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য সিগারেট পেপার আমদানির সম্পূরক শুল্ক ১৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ শতাংশ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে সিগারেটের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারে সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। 

তবে, তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা সংস্থাগুলোর মতে, এই পরিবর্তন যথেষ্ট নয়। তারা সিগারেটের চারটি দামের স্তরকে কমিয়ে তিনটি করার এবং নিম্ন ও মধ্য স্তরের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে, যাতে ধূমপান নিরুৎসাহিত করা যায় এবং সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করতে পারে ।

আইসক্রিমের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে । এই পরিবর্তনের ফলে আইসক্রিমের দাম কমতে পারে, যা শিশু ও তরুণদের জন্য আনন্দের খবর। 

আরও পড়ুন: বাড়ছে না বিদ্যুতের দাম

তবে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এই ধরনের পণ্যের দাম কমলে অতিরিক্ত ভোগের প্রবণতা বাড়তে পারে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

প্রস্তাবিত বাজেটে আরও কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট হ্রাস করা হয়েছে, যেমন:

• প্যাকেটজাত তরল দুধ ও স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর ভ্যাট মওকুফ।
• বলপেন ও কম্পিউটার মনিটরের (৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত) ওপর ভ্যাট মওকুফ।
• আমদানিকৃত মাছ ও মাংসের ওপর সম্পূরক শুল্ক হ্রাস।

এই পরিবর্তনগুলো সাধারণ ভোক্তাদের জন্য কিছু পণ্যের দাম কমাতে সহায়ক হতে পারে ।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট পেপারের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি এবং আইসক্রিমের ওপর শুল্ক হ্রাসের মাধ্যমে সরকার একদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে এবং অন্যদিকে ভোক্তাদের জন্য কিছু পণ্যের দাম কমাতে চেয়েছে। 

তবে, তামাক নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেছেন, যাতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে এবং সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করতে পারে।