বর্ষায় মাচায় চাষ হচ্ছে সুস্বাদু মার্সেলো তরমুজ, খুশি নওগাঁর কৃষকরা

ছবি: সংগৃহীত
নওগাঁয় মাচার ওপর সবুজ পাতা, নিচে ঝুলছে কালো রঙের তরমুজ। গাছ থেকে ফল ছিঁড়ে না পড়ে সেজন্য প্রতিটি তরমুজে দেওয়া হয়েছে জালি। এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে নওগাঁর পত্নীতলা, মহাদেবপুর, রাণীনগর ও সদর উপজেলার মাঠে মাঠে। আগে এসব জমিতে পটল ও করলা চাষ হলেও এখন বর্ষা মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড মার্সেলো জাতের তরমুজ চাষ করছেন কৃষকরা।
মাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে চাষ হওয়া এই তরমুজের ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকরা সন্তুষ্ট। সুস্বাদু ও মিষ্টি স্বাদের কারণে বাজারে এর চাহিদাও বেশি। লম্বাটে ডিম্বাকৃতির এ তরমুজের ভেতরের অংশ গাঢ় লাল। প্রতিটি তরমুজের ওজন ৩ থেকে ৫ কেজি। প্রতি বিঘায় দেড় থেকে দুই হাজার তরমুজ উৎপাদন হচ্ছে।
রাণীনগরের কৃষক নিরাঞ্জন চন্দ্র প্রামানিক জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রতিবছর নতুন ফসল চাষ করেন তিনি। এবার ২৫ শতক জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই বিষমুক্ত মার্সেলো তরমুজ চাষ করেছেন। বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কম পরিশ্রমে ভালো দাম পেয়ে তিনি খুশি।
তরুণ উদ্যোক্তা কামাল মাহমুদ শিপন বলেন, “নিরাঞ্জন দাদার ক্ষেত দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। খেয়ে দেখলাম খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। আগামী বছর দুই বিঘা জমিতে এ তরমুজ চাষ করব।”
কাশিমপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের দম্পতি আলেক বেগ ও কুলসুম বানু জানান, আগে শুধু গ্রীষ্মকালে তরমুজ কিনতেন। এখন বর্ষায় ক্ষেতেই পাকা তরমুজ দেখে অবাক হয়েছেন। তারা ৫০ টাকা কেজি দরে দুটি তরমুজ কিনেছেন, মোট ৮ কেজি ওজন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে রসালো ফল সাম্মামের সফল চাষে কৃষকদের স্বপ্ন
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “মাচায় ও মালচিং পদ্ধতিতে চাষ হওয়া উচ্চ ফলনশীল মার্সেলো তরমুজ কম খরচে ও বিষমুক্ত। ভেতরে গাঢ় লাল ও সুস্বাদু এই তরমুজের বাজার চাহিদা অনেক। কৃষকরা বর্ষাকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষি বিভাগ তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি