News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জেরুজালেমে বাসে সশস্ত্র হামলা, ৫ নিহত

জেরুজালেমে বাসে সশস্ত্র হামলা, ৫ নিহত

ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমের রামোট জংশনের কাছে একটি চলন্ত বাস লক্ষ্য করে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই রক্তক্ষয়ী ঘটনায় অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটে এবং কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড আদম (এমডিএ)।

সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হামলার ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, রামোট জংশনের বাসস্টপ ও পাশের রাস্তায় তখন যাত্রীদের ভিড় ছিল। দুইজন বন্দুকধারী একটি গাড়ি থেকে নেমে ৬২ নম্বর বাসে উঠে যাত্রীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলেই চারজন মারা যান, পরে হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে অভিযান শুরু করে। দুই হামলাকারীর মধ্যে কেউ নিহত হয়েছে, কেউ পালিয়েছে—এটি এখনো নিশ্চিত নয়। 

এমডিএ-র প্যারামেডিক নাদাভ তাইব বলেন, গুলির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। সেখানে রাস্তা, ফুটপাত এবং বাস স্টপের পাশে অনেক মানুষ অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল। চারপাশে ভাঙা কাঁচ ও ধ্বংসস্তূপ ছিল। আমরা আহতদের চিকিৎসা শুরু করি এবং হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করি।

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত

ইউনাইটেড হাতজালাহ মেডিকেল টিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। 

মাগেন ডেভিড আদোম নিশ্চিত করেছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন প্রায় ৫০ বছর বয়সী এক নারী, একই বয়সী এক পুরুষ এবং আরও তিনজন তরুণ পুরুষ (বয়স আনুমানিক ৩০-এর কোঠায়)। আহতদের জেরুজালেমের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও এক সাধারণ নাগরিক সাহসিকতার সঙ্গে পাল্টা গুলি চালান, এতে দুই হামলাকারী নিহত হন। ঘটনার পরপরই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। 

তিনি বলেন, ইসরায়েল এই বর্বরোচিত হামলার কঠোর জবাব দেবে। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং রামাল্লাহ ও আশেপাশের এলাকায় সেনা অভিযান জোরদারের নির্দেশ দেন। যদিও এখনও কোনো সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে দায় স্বীকার করেনি, তবে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ এই হামলার প্রশংসা করেছে এবং হামলাকারীদের “প্রতিরোধ যোদ্ধা” হিসেবে উল্লেখ করেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়ে গেছে। গাজা উপত্যকা ও লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পাশাপাশি শহরের ভেতরেও একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আঞ্চলিক সংঘাতের কারণে পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়