আইপিএলের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১১ কোটি জরিমানা

ফরেন এক্সচেঞ্জ আইনের আওতায় ইডি কর্তৃক আরোপিত ১০.৬৫ কোটি টাকার জরিমানা বিসিসিআইকে বহন করার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান ললিত মোদী। এর আগেই বোম্বে হাই কোর্ট আবেদন খারিজ করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টও ৩০ জুন আবেদন খারিজ করে দেন।

সোমবার (৩০ জুন) ভারতের সাবেক ক্রিকেট প্রশাসক ও আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ললিত মোদীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। 

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কর্তৃক আরোপিত ১০ কোটি ৬৫ লাখ রুপির জরিমানার অর্থ ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)কে দিতে হবে—এমন দাবিতে মোদী এই আবেদন করেন।

২০০৫ সালের একটি সুপ্রিম কোর্ট রায়ের ভিত্তিতে আদালত জানায়, বিসিসিআই কোনও রাষ্ট্রীয় সংস্থা নয়; ভারতীয় সংবিধানের ১২ নম্বর ধারার আওতায় ‘State’ হিসেবে বিবেচিত হয় না। সে কারণে বিসিসিআইকে এ ধরনের দায়িত্ব চাপানো যায় না।

আরও পড়ুন: ছক্কা মেরে চিরবিদায়, মাঠেই প্রাণ হারালেন ক্রিকেটার

এই একই দাবি আগেও বোম্বে হাই কোর্টে তুলেছিলেন মোদী। ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর বিচারপতি এমএস সোনক ও জিতেন্দ্র জৈনের বেঞ্চ তার আবেদনকে ভিত্তিহীন ও সময় নষ্ট করার অভিযোগে খারিজ করে দেন। সেই সঙ্গে মোদীকে ১ লাখ রুপি জরিমানা করার নির্দেশ দেওয়া হয়, যা মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে দান করার আদেশ হয়।

সেই রায়ের বিরুদ্ধেই এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যান ললিত মোদী। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পি এস নরসিমহা ও আর মহাদেবনের বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে জানান, যেহেতু আবেদনটির কোনও সাংবিধানিক ভিত্তি নেই, তাই বিসিসিআইকে কোনো রকম নোটিশ দেওয়া যায় না।

তবে সুপ্রিম কোর্ট আবেদনকারীকে তার ‘সিভিল রেমেডি’ গ্রহণের স্বাধীনতা দিয়েছে, অর্থাৎ সাধারণ দেওয়ানি আদালতের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করতে পারবেন তিনি।

এর ফলে স্পষ্ট যে, বিসিসিআইকে ইডির জরিমানা বহনের জন্য বাধ্য করার প্রশ্নই নেই। একইসঙ্গে আদালত ললিত মোদীকে ভবিষ্যতে এমন ‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর’ আবেদন না করার পরামর্শ দিয়েছে।