পিএসজির বিরুদ্ধে জ্বলে উঠবেন মেসি, আশা কোচের

লিওনেল মেসির সাবেক ক্লাব পিএসজি, স্রেফ এই এক লাইনের ব্যাপার এটি নয়। সমীকরণের গভীরে আছে সম্পর্কের টানাপোড়েন, অসন্তুষ্টি ও অনেক কিছু। আর্জেন্টাইন জাদুকর এবার সেই ক্লাবেরই মুখোমুখি হচ্ছেন ইন্টার মায়ামির জার্সি গায়ে। মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানোর ধারণা, পুরোনো সেই ক্ষত সাবেক দলের বিপক্ষে তাতিয়ে দিতে পারে মেসিকে।

ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় আগামী রোববার মুখোমুখি হবে পিএসজি ও ইন্টার মায়ামি। ম্যাচে পরিষ্কার ফেভারিট ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। টুর্নামেন্টের ফেভারিট দলগুলির একটি তারা। মায়ামির জন্য এই টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাওয়াই ছিল বড় ব্যাপার। নকআউট পর্বে ওঠার পর কোচ মাসচেরানো বলেছেন, এটা ক্লাবের জন্য ও মেজর লিগ সকারের জন্য ঐতিহাসিক অর্জন।

পিএসজির সঙ্গে তারা যদি একটু লড়াই জমাতেও চায়, তাহলে আরেকটি অতিমানবীয় পারফরম্যান্স লাগবে মেসির। প্যারিসের ক্লাবটির সঙ্গে তার পুরোনো হিসাবনিকাশও আছে কিছু।

বার্সেলোনা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হওয়ার পর ২০২১ সালে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। সেখানে দুই মৌসুমে তাকে সেরা চেহারায় দেখা গেছে কমই। ক্লাবের মূল লক্ষ্য ছিল যে টুর্নামেন্ট, সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে তারা দুবারই ছিটকে পড়ে শেষ ষোলো থেকেই।

প্যারিসে পা রাখার পর সমর্থকদের কাছ থেকে দারুণ অভ্যর্থনা পেলেও পরে জনপ্রিয়তা হারান তিনি। নিজেদের মাঠেই তাকে দুয়ো শুনতে হয়েছে কয়েক দফায়। ক্লাব থেকে বিদায় নেওয়ার পরে এক পর্যায়ে মেসি বলেন, ওই ক্লাবে তিনি সুখী ছিলেন না।

এবার পিএসজির সঙ্গে লড়াইয়ের আগে সেসব সমীকরণের ছক কষা হচ্ছে নানা সংবাদমাধ্যমে। কোচ মাসচেরানো ইএসপিএনকে বললেন, এসব থেকে তিনি আশার ছবিই দেখছেন।

আরও পড়ুন: বায়ার্নকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে বেনফিকা

“মেসি যদি সেই ক্ষোভ নিয়ে মাঠে নামে, তাহলে তো আমাদের জন্যই ভালো। সে এমন একজন ফুটবলার, তার মাথায় কিছু একটা গেঁথে গেলে সে বাড়তি কিছু করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।”

এই ম্যাচ ঘিরে সমীকরণের শেষ নয় এখানেই। পিএসজির কোচ লুইস এনরিকেও তো মাসচেরানো-মেসিদের খুবই চেনা। এনরিকের কোচিংয়ে তারা একসঙ্গে খেলেছেন বার্সেলোনায়। এই সম্পর্কের ভেতরে অবশ্য কোনো রাগ-ক্ষোভ নেই। আছে কেবলই সম্মান।

“লুইস এনরিকে তিন বছর আমার কোচ ছিলেন, এটা ছাপিয়ে তিনি আমার বন্ধু। আমাদের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমার ক্যারিয়ারের সেরা কোচদের একজনের মুখোমুখি হতে পারাটা আমার জন্য হবে সম্মানের।”