News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:৫৫, ২৫ জুন ২০২৫

ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, আক্রান্ত ৩২৬

ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, আক্রান্ত ৩২৬

ছবি: সংগৃহীত

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ফের উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও দুই জন। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২৬ জন।

বুধবার (২৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, সর্বশেষ মৃত্যুবরণকারী দুইজনের বাড়ি মাদারীপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তারা চিকিৎসাধীন ছিলেন যথাক্রমে ঢাকা ও রাজশাহীর হাসপাতালে। এ নিয়ে ২০২৫ সালে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৬ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩২৬ ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১৮ জন বরিশাল বিভাগে। 

এর মধ্যে বরগুনা জেলাতেই ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৫ জন, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের সিটি এলাকার বাইরে ৪৩ জন করে, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৬ জন, রাজশাহীতে ২৯ জন, খুলনায় ১৬ জন, ময়মনসিংহে ৫ জন এবং সিলেটে ১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় নতুন ডেঙ্গু রোগী ৩৯৪, ঝুঁকি বাড়ছে বরিশালে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ৩১৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত এ বছর দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮৭০ জনে। তাদের মধ্যে ৫ হাজার ২১১ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৬৫৯ জন নারী। আর মৃতদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারী।

আইইডিসিআর পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, বরগুনায় ডেঙ্গু সংক্রমণের হার দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। 

গত ১৭ থেকে ১৯ জুন পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, বরগুনা পৌর শহরের দুটি ওয়ার্ডে প্রতি ১০টি বাড়ির মধ্যে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। পৌরসভার গড়ে লার্ভা শনাক্তের হার ৩১ শতাংশ হলেও সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নে তা ৭৬ শতাংশে পৌঁছেছে। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত সীমার আট গুণ বেশি।

স্বাস্থ্য বিশ্লেষকদের মতে, রাজধানীর বাইরে বরিশাল বিভাগ, বিশেষ করে বরগুনা জেলা এখন ডেঙ্গু সংক্রমণের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই বরগুনায় আক্রান্ত হয়েছিল ২ হাজার ৪৩৪ জন, যা বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ ও মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল। ওই বছর আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, পৌরসভা এবং জনসাধারণের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস এবং সচেতনতা বৃদ্ধিই এখন একমাত্র প্রতিকার।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়