ইরানে মার্কিন হামলা, বিশ্ববাজারে তেলের দাম লাফিয়ে বাড়ছে

ছবি: সংগৃহীত
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর বিশ্ববাজারে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এরই প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেলের বাজারে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটার পর, রবিবার রাতেই (২২ জুন) মার্কিন শেয়ারবাজারে তেলের ফিউচার দামে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যায়।
সোমবার (২৩ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি ব্যারেল ৭৬ দশমিক ৪৭ ডলার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত ব্রেন্ট তেলের দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ৫৯ ডলার।
তবে তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতির বিপরীতে শেয়ারবাজারে দেখা গেছে নেতিবাচক প্রবণতা। ডাও ফিউচারস সূচক কমেছে ২৫০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। এছাড়া, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও নাসডাক ফিউচার সূচকও শূন্য দশমিক ৬ থেকে ০.৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ হওয়ায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি পদক্ষেপে বাজারে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে জ্বালানি, বিনিয়োগ এবং মুদ্রাবাজারেও। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের মানও বেড়ে গেছে প্রায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ, যা বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার সময় সাধারণভাবে হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ইরানে মার্কিন হামলায় বিশ্বজুড়ে নিন্দা-উদ্বেগ
এদিকে, রবিবার ইরানের পার্লামেন্ট বিশ্ববাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে। এখন বিষয়টি চূড়ান্তভাবে বিবেচনা করবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
বিশ্বজুড়ে সরবরাহ নির্ভরশীলতা বিবেচনায় হরমুজ প্রণালির গুরুত্ব অপরিসীম। মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এই সমুদ্রপথ দিয়েই বিশ্বব্যাপী তেল ও গ্যাসের প্রায় ২০ শতাংশ সরবরাহ হয়ে থাকে। ফলে এই প্রণালি বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দামে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরান-ইরাক যুদ্ধকালীন সময়ে উপসাগরে বেশ কয়েকবার ট্যাঙ্কার হামলার ঘটনা ঘটলেও হরমুজ প্রণালি কখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন মাত্রা নিচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি