গ্রেফতার নয়, আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল: মেঘনা আলম

মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় জব্দ করা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজের জিম্মায় ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন মডেল ও ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০’ খ্যাত মেঘনা আলম।
রবিবার (২২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে এই আবেদন করেন তিনি।
আবেদনের শুনানির সময় আদালতে মেঘনা বলেন, 'আমি মডেল নই, পলিটিক্যাল লিডারশিপ ট্রেইনার। আমাকে গ্রেফতার নয়, অপহরণ করা হয়েছিল। গ্রেফতারের কোনো আইনি প্রক্রিয়া মানা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে মামলা, অভিযোগ বা ওয়ারেন্ট কিছুই ছিল না। বাসায় এসে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যা অপহরণের শামিল।'
আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে আদেশ পরবর্তীতে দেবেন বলে জানান।
এর আগে, গত ৯ এপ্রিল রাজধানীতে নিজ বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পরদিন ১০ এপ্রিল তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এই আদেশ ২৮ এপ্রিল বাতিল হলে তিনি মুক্ত হন এবং বর্তমানে জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: বিয়ে না করার পোপন কারণ জানালেন সালমান খান
মেঘনার সহযোগী দেওয়ান সমিরকেও এ মামলায় গ্রেফতার করা হয়। ১২ এপ্রিল ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় এবং পরে ১৭ ও ২২ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়।
চাঁদাবাজির মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিদেশি কূটনীতিক ও দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে ব্ল্যাকমেইলিং ও অর্থ আদায়ের অভিযোগে অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেঘনা আলমের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা এ মামলার পটভূমিতে নতুন আলোচনার জন্ম দেয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি