News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ১৮ জুন ২০২৫

১৩ ওয়ার্ডে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ডেঙ্গু

১৩ ওয়ার্ডে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ডেঙ্গু

ফাইল ছবি

মৌসুম শুরুর আগেই রাজধানীতে বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে ডেঙ্গুর ঝুঁকি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘মৌসুম পূর্ব এডিস সার্ভে-২০২৫’ এর ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মোট ১৩টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব নির্ধারিত মানদণ্ডের চেয়ে বেশি, যা এসব এলাকাকে ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে ফেলেছে।

‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামক সূচকে এসব এলাকার স্কোর ২০ শতাংশের বেশি হওয়ায় সেগুলোকে ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ বিবেচনা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে এই প্রাক-বর্ষা জরিপ পরিচালিত হয়। 

বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এই জরিপটি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চালানো হয়, যা পরিচালিত হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে। 

ঢাকা শহরের ৯৯টি ওয়ার্ডে পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, ১৩টি ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ২০ শতাংশের বেশি, যার অর্থ প্রতি ১০০টি পানির পাত্রের মধ্যে অন্তত ২০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: নীরবে ছড়াচ্ছে করোনা: বরিশাল-চট্টগ্রামে প্রথম শনাক্ত ও মৃত্যু

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) সর্বোচ্চ ব্রুটো ইনডেক্স ১২ নম্বর ওয়ার্ড ২৬.৬৭%, অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ড ২, ৮, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড ২৩.৩৩%, ১৩ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড ২০%।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) সর্বোচ্চ ব্রুটো ইনডেক্স ৩১ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড ২৬.৬৭%, অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ড ৩, ৪৬, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড ২৩.৩৩%, ৪ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ২০%।

‘ব্রুটো ইনডেক্স’ হল একটি পরিমাপক সূচক যা নির্ধারণ করে কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় পানির পাত্রে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার হার কতটা। 
আন্তর্জাতিকভাবে ২০ শতাংশের বেশি সূচক মানে হচ্ছে, ওই এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং ডেঙ্গুর ব্যাপক সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এই ফলাফল রাজধানীজুড়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জরুরি প্রস্তুতি ও জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানাচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন পূর্বাভাস উপেক্ষা করা হলে পরিস্থিতি দ্রুত জটিল হয়ে উঠতে পারে। স্থানীয় সরকার সংস্থা ও নগরবাসীকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বৃষ্টি শুরুর আগে বাসাবাড়ি, ছাদ, বালতিসহ যেকোনো পানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি।

সরকারি জরিপ বলছে, ঢাকার ১৩টি ওয়ার্ড এখন ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে। মৌসুম শুরুর আগে এডিস মশার এতটা বিস্তার আগাম সতর্কবার্তা হিসেবেই দেখা উচিত। সময়মতো উদ্যোগ না নিলে, পরিস্থিতি করোনা-পরবর্তী সময়ে দেখা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মতো মারাত্মক হতে পারে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়