News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:২২, ১৬ জুন ২০২৫
আপডেট: ০৯:৫০, ১৬ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে ইরানের অস্বীকৃতি

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে ইরানের অস্বীকৃতি

ছবি: সংগৃহীত

ক্রমশ জটিল ও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত। যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কূটনৈতিক উদ্যোগ হিসেবে মধ্যস্থতায় এগিয়ে এসেছে ওমান ও কাতার। তবে শুরুতেই ভেস্তে গেছে তাদের প্রথম প্রচেষ্টা। ইসরায়েলের সঙ্গে  যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইরান।

সোমবার (১৬ জুন) মধ্যরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পক্ষ থেকে মধ্যস্থতাকারী দেশ ওমান এবং কাতারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ইসরায়েলি হামলা চলাকালীন কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় আগ্রহী নয় তারা।

রয়টার্সকে এক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেছেন, 'কাতার এবং ওমানকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইরান তখনই সত্যিকারের যুদ্ধবিরতির আলোচনা করবে, যখন ইসরায়েলের প্রথম হামলার পূর্ণ প্রতিশোধ নেবে তারা।'

এর আগে, ইসরায়েলি বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, যুদ্ধবিরতির জন্য ওমান ও কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইরান। কিন্তু এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

গত শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ বড় ধরনের হামলা করে বসে ইসরায়েল। এরপর সারাদিনই দেশটিতে হামলা অব্যাহত রাখে তারা। ভয়াবহ এ হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান জেনারেল হোসাইন সালামিসহ অন্তত ২০ জন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যা করে ইসরায়েল। রোববারও (১৫ জুন) ইরানের এলিট ফোর্স ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা প্রধান ও সামরিক বাহিনীর আরও দুই জেনারেলকে হামলা চালিয়ে হত্যা করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। 

শুক্রবারের হঠাৎ ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওইদিন রাত থেকে ইসরায়েলে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ নামে এক অভিযান শুরু করে ইরান। এরপর থেকে একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা-পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষই। ক্রমেই ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে দুইদেশের এ সংঘাত। 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়