বয়কট’ থেকে ঐকমত্যের বৈঠকে জামায়াত

ছবি: সংগৃহীত
একদিনের ‘বয়কট’ শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা। অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা এসময় হাসিমুখে তাদের স্বাগত জানান।
বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির ‘দোয়েল মাল্টিপাস হল’ প্রবেশ করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আযাদ।
এর আগে মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সদস্য অংশ নেননি। পরে জাময়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা বৈঠকটি ‘বয়কট’ করেছে।
মিলনায়তনের দরজার সামনেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার জামায়াতের প্রতিনিধি দলের নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে শুভেচ্ছা জানান। তারা হাসিমুখে করমর্দন করেন। পরে জামায়াত নেতৃবৃন্দ হেঁটে হেঁটে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
‘দখল-চাঁদাবাজি করলে বিএনপিও আওয়ামী লীগে পরিণত হবে’
প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও জামায়াতের নায়েবের আমীরের সঙ্গে করমর্দন করেন, শুভেচ্ছা জানান।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান জামায়াতের নায়েবের আমীরের সাথে কুশল বিনিময় করে বলেন, “ভাই একেবারে টেনশনে ফেলে দিয়েছিলেন। ফিরে এসেছেন। আমরা সবাই একসাথে নতুন বাংলাদেশ গড়ব।”
আরেক নেতার সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের হাসতে হাসতে বলেন, “এটা কিছু না… আমাদের সবাই এক আছি, এক থাকব।”
বাংলাদেশ জাসদের মুশতাক হোসেন ও জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাসের কাছে গিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমীর কুশল বিনিময় করেন।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সঙ্গে কুশল বিনিময়কালে জামায়াতের এক নেতাকে বলতে শোনা যায়, “এটা কিছু না, একটু মান-অভিমান আরকি।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মিলনায়তনে প্রবেশ করেন সাড়ে ১১টার কাছাকাছি সময়ে। শুরুতেই তিনি জামায়াতের নায়েবের আমীর আব্দুল্লাহ তাহেরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।
বয়স নিয়ে রসিকতা করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমি ৭০ আর উনি ৭১।”
এরপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকার জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে টেনে নিয়ে এসে সালাহউদ্দিন আহমদ আলোকচিত্রীদের বলেন, “এবার ভালো করে ছবি উঠান ভালো করে উঠান।”
আলোচিত্রীরা এসময় তাহের, সালাহউদ্দিন ও নাহিদের হাস্যোজ্জ্বল মুখচ্ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
বৈঠকে বিএনপির সালাহউদ্দিনের পাশের আসনটিতে বসেন জামায়াতের তাহের। এর পরের আসনটি এনসিপির নাহিদের।
এরপরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, বিএনপির অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান, জামায়াতে ইসলামীর হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বসেন।
গত ৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পরে যে যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করা হয় তা ‘যথাযথ’ হয়নি বলে মনে করছে জামায়াত।
এর প্রতিবাদে জামায়াত কমিশনের বৈঠক ‘বয়কট’ করার সিদ্ধান্ত নেয় বলে দলটির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি