News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:৩৬, ১৩ জুন ২০২৫

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ৫, হাসপাতালে ১৫৯

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ৫, হাসপাতালে ১৫৯

ফাইল ছবি

সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ফের উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (১২ জুন সকাল ৮টা থেকে ১৩ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত) এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এটিই ২০২৫ সালের মধ্যে একদিনে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু। একই সময় নতুন করে ১৫৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শুক্রবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। 

তথ্য মতে, নতুন পাঁচ মৃত্যুর মধ্যে বরিশাল বিভাগেই মারা গেছেন চারজন। বাকি একজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়। মৃতদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুইজন পুরুষ।

নতুন আক্রান্ত ১৫৯ জনের মধ্যে ১২৪ জনই বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) যথাক্রমে ৯ জন করে, খুলনায় ৩ জন, সিলেটে ১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২ জন এবং ঢাকা উত্তরে ১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান (২০২৫ সালের ১৩ জুন পর্যন্ত):

  • মোট আক্রান্ত: ৫,৫৭০ জন
  • মোট মৃত্যু: ২৮ জন
  • হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্রপ্রাপ্ত: ৫,০১১ জন
  • লিঙ্গভিত্তিক আক্রান্ত হার: পুরুষ ৫৫.৩%, নারী ৪৪.৭%

বরিশাল বিভাগে এত ব্যাপকহারে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঘটনা চলতি বছরে এটিই প্রথম। ঢাকার তুলনায় বরিশালে ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে স্থানীয় জলাবদ্ধতা, অকার্যকর মশক নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিকাঠামোর ঘাটতির বিষয়টি বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০৮

তুলনামূলক পরিসংখ্যান বলছে, 

          বছর                                  মোট আক্রান্ত          মোট মৃত্যু

  • ২০২৩                               ৩,২১,১৭৯ জন       ১,৭০৫ জন
  • ২০২৪                               ১,০১,২১৪ জন         ৫৭৫ জন
  • ২০২৫ (১৩ জুন পর্যন্ত)       ৫,৫৭০ জন            ২৮ জন

স্বাস্থ্য বিশ্লেষকদের মতে, চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ তুলনামূলকভাবে দেরিতে শুরু হলেও বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে গ্রামীণ ও উপকূলীয় এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বরিশাল এবং আশপাশের জেলাগুলোতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ পরিস্থিতিকে ‘গুরুতর আগাম সংকেত’ হিসেবে দেখছে এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের কিছু জেলায় বিশেষ নজরদারির পাশাপাশি অতিরিক্ত চিকিৎসা দল পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। জনগণকে ঘরের ভেতরে ও বাইরে জমে থাকা পানি অপসারণের এবং মশার বিস্তাররোধে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস প্রজাতির মশার মাধ্যমে ছড়ায়। একাধিকবার আক্রান্ত হলে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেলে এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়