News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:৪৮, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
আপডেট: ১৯:১৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২০

নবজাতকের লাশ কুকুরে খাওয়ার ঘটনায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

নবজাতকের লাশ কুকুরে খাওয়ার ঘটনায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

লক্ষ্মীপুর:  লক্ষ্মীপুর সরকারি হাসপাতালে নবজাতকের লাশ খাচ্ছে কুকুরে এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হবার পর এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর উক্ত ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছে জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুর সরকারি হাসপাতালে নবজাতকের লাশ কুকুরে খাওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হবার পর পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি তাদের রির্পোটে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে।

রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. গোলাম ফারুক ভৃঁইয়াকে দায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লিখিতভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সুশীল সমাজ এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করে বলেন, “হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এ ধরনের অমানবিক ঘটনা ঘটেছে।”

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে হাসপাতালের বিভিন্ন রোগীর স্বজনেরা দেখতে পায় সদর হাসপাতালের পশ্চিম পাশে ময়লার ডাস্টবিন থেকে একটি নবজাতক শিশুর লাশ টেনে হিঁচড়ে বের করে খাচ্ছে কুকুর।

কুকুরের এই কাণ্ড দেখে সাধারণ মানুষ তা দেখতে আসা শুরু করে। পরে খবর যায় স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তারা খুব দ্রুত ঘটনারস্থলে এসে বিষয়টি দেখেন।

এ সময় সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন ছুটে এসে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে এই দুঃখ প্রকাশ করে লাশটি তুলে নিয়ে সদর হাতপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন জানান নবজাতকের একটি হাত কুকুরে নিয়ে যায়।

এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পূর্ব লকনপুর গ্রামের ফজল করিমের স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে একটি মৃত সন্তান প্রসব করে। পরে হাসপাতালের আয়া ও সুপার ওই মৃত নবজাতকের লাশ মাটি দেওয়া বাবদ কিছু টাকা নেয়। কিন্তু তারা তাদের লাশটি মাটি না দিয়ে একটি পলিথিন মুড়িয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।

লক্ষ্মীপুর শিশু ও নারী উন্নয়ন সংস্থা সিডব্লিউডিএ নির্বাহী পরিচালক পারভিন হালিম জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। সরকারিভাবে হাসপাতালের কর্মচারীদের বেতন ভাতা, বাসা বাড়ি সহ সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। অথচ  এই ধরনের একটি অমানবিক ঘটনায় আমরা তাদের কাছ থেকে আশা করিনি। আসলে এই দেশে শিশু ও নারীদের সুরক্ষা জন্য কোনো কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। হাসপাতালের যে সকল কর্মকর্তা কর্মচারী এ ঘটনায় সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দায়িত্ব অবহেলার কারণে আয়া  আলেয়া বেগমের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/টিএইচজেজি/কেজেএইচ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়