News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আপডেট: ১৯:৩৫, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আগস্টে রেমিট্যান্স ৯% বেড়ে ২৪২ কোটি ডলার

আগস্টে রেমিট্যান্স ৯% বেড়ে ২৪২ কোটি ডলার

ফাইল ছবি

সদ্য শেষ হওয়া আগস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকরা দেশে মোট ২৪২ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এই হিসাবে, প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে প্রায় ৭ কোটি ৮১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। 

সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২২২ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা বছরের ব্যবধানে প্রায় ৮.৯০ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। এছাড়া, ৩১ আগস্ট একদিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে ১৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশে এসেছে ৪৯০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। বছরের ব্যবধানে এটি ১৮.৪০ শতাংশের সমান প্রবৃদ্ধি। জুলাই মাসে দেশে এসেছে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। তবে জুলাই মাসে ৮টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

গত অর্থবছর ২০২৪-২৫ সালে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩০.৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড। 

আরও পড়ুন: আগস্টের ৩০ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা

সেই অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল:

  • জুলাই: ১৯১.৩৭ কোটি মার্কিন ডলার
  • আগস্ট: ২২২.১৩ কোটি মার্কিন ডলার
  • সেপ্টেম্বর: ২৪০.৪১ কোটি মার্কিন ডলার
  • অক্টোবর: ২৩৯.৫০ কোটি মার্কিন ডলার
  • নভেম্বর: ২২০ কোটি মার্কিন ডলার
  • ডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি মার্কিন ডলার
  • জানুয়ারি: ২১৯ কোটি মার্কিন ডলার
  • ফেব্রুয়ারি: ২৫৩ কোটি মার্কিন ডলার
  • মার্চ: ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার
  • এপ্রিল: ২৭৫ কোটি মার্কিন ডলার
  • মে: ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার
  • জুন: ২৮২ কোটি মার্কিন ডলার

চলতি অর্থবছরের আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স জুলাইয়ের তুলনায় সামান্য কম হলেও, এটি গত সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবু প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়েছে এবং দেশের রিজার্ভ দ্রুত বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে ডলারের বাজার দর দীর্ঘদিন ১২২ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল রয়েছে। যদিও কিছুদিন আগে এটি কমে ১১৯ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে গেলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনে নিলে তা আবার ১২১ টাকার ওপরে উঠে।

রিজার্ভও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ, গত বৃহস্পতিবার গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১.১৯ বিলিয়ন ডলার, আর আইএমএফের বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬.১৯ বিলিয়ন ডলার। তুলনায়, সরকারের পতনের সময় এটি ছিল ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার (২০২১ সালের আগস্টে)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে উচ্চ প্রবাহ দেশের দীর্ঘমেয়াদি ডলার সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের (জুলাই–আগস্ট) রেমিট্যান্স ৪৯০ কোটি ডলার পৌঁছেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮.৪১ শতাংশ বেশি। এ ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়