ঈদের পর ১০ দিন ঢাকায় চামড়া পরিবহন নিষিদ্ধ

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী ১০ দিন দেশের অন্যান্য জেলা থেকে রাজধানী ঢাকায় কাঁচা চামড়া পরিবহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। 

মঙ্গলবার (৩ জুন) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হচ্ছে ঈদের সময়ে ঢাকার চামড়ার বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে দাম স্থিতিশীল রাখা এবং স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের সুযোগ তৈরি করা। 

এর ফলে ঈদের পরবর্তী ১০ দিন শুধুমাত্র ঢাকার চামড়া পোস্তা, সাভারসহ বিভিন্ন আড়তে কেনাবেচা হবে। ঢাকার বাইরে থেকে চামড়া ঢাকায় আনা যাবে ১০ দিন পর থেকে।

এর আগে ২৫ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন জানান, সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেন স্থানীয়ভাবে চামড়া সংরক্ষণ করা যায় এবং বাজারে নিয়ন্ত্রিত সরবরাহ নিশ্চিত হয়। 

আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে নামবে ৭ শতাংশে

তিনি জানান, স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণে সহায়তার জন্য সরকার সারাদেশে বিনামূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ করবে। এর পাশাপাশি ট্যানারি মালিকদের জন্য ২৫০ কোটি টাকার সরকারি প্রণোদনা ছাড় করা হয়েছে, যাতে তারা সহজে চামড়া সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

আরও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে, সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এতে করে স্থানীয় বাজারে মূল্য নির্ধারণ আরও স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ঢাকায় চামড়া প্রবেশ বন্ধের ফলে গ্রামাঞ্চলে যারা চামড়া সংরক্ষণ করেন, তারা লবণের মাধ্যমে তা সংরক্ষণ করতে পারবেন। যারা কোরবানির পশু জবাই করেন তারা চামড়া মাদরাসা বা এতিমখানায় দিয়ে দিতে পারেন। এসব প্রতিষ্ঠান সেগুলো সংরক্ষণ করে পরে বিক্রি করতে পারবে।

সরকারের এই পদক্ষেপ ঈদ পরবর্তী সময়ে চামড়া বাজারে কৃত্রিম সংকট রোধ, দাম স্থিতিশীল রাখা এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করার একটি কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।