কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা

রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে আগামীকাল বুধবার রাত ১২টা থেকে মাছ শিকার বন্ধ হচ্ছে। এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। টানা ৩মাস পর্যন্ত রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বিস্তার ও মা মাছের সুরক্ষার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা আরপ করার হয়। 

সম্প্রতি রাঙামাট  জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড় রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধকালীন সময় প্রথম ধাপে ছাড়া হবে প্রায় ৬০ মেট্টিক টন পোনমাছ। একই সাথে ভিজিএফ কার্ডধারি  প্রায় ২৬ হাজার জেলে পরিবারকে দেওয়া হবে খাদ্য সহায়তা। 

রাঙামাটি বিএফডিসি সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলাধার ও বাংলাদেশের প্রধান মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্র রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ, যা দেশের মিঠা পানির মাছের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। এ হ্রদ থেকে আহরিত মাছ রপ্তানি করা হয় চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। যার সুফল ভোগ করে এ অঞ্চলের ২৬ হাজার মৎস্যজীবী পরিবার। বন্ধকালীন সময় রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ হ্রদে ছাড়া হয় বিপুল পরিমাণ পোনা মাছ। এসব পোনা মাছ বড় হতে সময় লাগে প্রায় তিনমাস। তিন মাস পরে হ্রদে মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের করে নেয়া হয়।  বছরের প্রায় ৯মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের সুযোগ পাই। 

আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বজ্রপাতে শ্রমিকের মৃত্যু

রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের উন্নয়ন ও বিপনি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম গণমাধ্যমকে জানান, কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে। এ সময়ে অবৈধভাবে মাছ আহরণ ও পোনা মাছ ধ্বংস রোধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ৩০ এপ্রিল রাত ১২টার আগ পর্যন্ত আহরিত কাঁচা মাছ ১ মে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফিসারি ঘাটে অবতরণ করা যাবে। শুঁটকি জাতীয় মাছ অবতরণ করা যাবে ৩ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

উলেখ্য, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তর রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদকে মিঠা পানির মাছের ভান্ডার বলা হয়। কারণ এ হ্রদে ৬৬টি দেশিও প্রজাতির ও ৬টি বহিরাগত প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। যা প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।