News Bangladesh

স্পোর্টস ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:৫০, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

দেশের মাটিতেই অবসর নিতে চান সাকিব

দেশের মাটিতেই অবসর নিতে চান সাকিব

ফাইল ছবি

ক্রিকেটার, নেতা, ব্যবসায়ী—আরও বহু পরিচয়ের মানুষ সাকিব আল হাসান। সম্প্রতি জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বাংলাদেশের হয়ে খেলার তীব্র ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এই অলরাউন্ডার। দেশের মাটিতেই ক্রিকেট থেকে অবসরে যেতে চান সাকিব।

দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন সাকিব আল হাসান। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আর দেশে ফেরা হয়নি তার। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। 

ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলার মধ্য দিয়ে অবসরে যেতে চাইলেও সেই সুযোগ পাননি তিনি। তবে আশা হারাচ্ছেন না সাকিব। ক্রিকেটে ফেরার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

সম্প্রতি ডেইলি সান’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, আমি এখনো চাই, বাংলাদেশের হয়ে খেলেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে। যদি কখনো সুযোগ হয়, তাহলে ১-২টি সিরিজ কিংবা আরো ১ বছর খেলার পরিকল্পনা করবো। আমার সবথেকে বড় ইচ্ছে হলো, আমার দেশের হয়ে খেলা এবং সেজন্য আমি আমার সবটুকু বিসর্জন দিতেও রাজী আছি। এই ইচ্ছে পূরণের জণ্যই আমি কাজ করছি এবং সবটুকু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ক্রীড়া উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা এবং বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলছি। 

আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বিসিবিতে অভিযান: দুদক

আপনি আমাকে গত ১৮ বছরের ক্রিকেট দিয়ে বিচার করবেন নাকি ছয় মাস দিয়ে বিচার করবেন সেটা আপনার ওপর। তবে আমি মনে করি আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলাটা ডিজার্ব করি। বেশীরভাগ মানুষ চায় আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলেই অবসর নিই। আমিও বিশ্বাস করি যে আর এক বা দুই বছর আমি খেলতে পারব।

গত জুলাইতে দেশে যখন তৎকালীন সরকার গণহত্যা চালাচ্ছিল। তখন কানাডায় পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভ্রমণে বের হতে দেখা যায় সাকিবকে। দেশের ছাত্ররা যখন রাজপথে তাজা রক্ত ঝরাচ্ছিল, তখন সাকিবের সহধর্মিণীর ফেসবুক থেকে ভাইরাল হয় এমন ছবি।

তখন বেশ খোশমেজাজে সময় কাটালেও বর্তমানে তা নিয়ে আফসোস করছেন সাকিব। নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন তিনি। ভুল স্বীকার করে নিয়ে সেটির দায়ভারও নিচ্ছেন সাকিব। গতবারের সরকারের সংসদ সদস্য এবং ক্রিকেটার হিসেবে কাজটি অনুচিত ছিল বলেই ভাবনা সাকিবের।

তিনি আরও বলেন, সত্যি বলতে, আমি তখন বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) খেলতে গেলাম, তারপর কানাডায়। ছবিটি কানাডায় তোলা। আমি নিজে এটি পোস্ট করিনি। তবুও, আমি এর দায়ভার নিচ্ছি। এটা একটা পূর্বপরিকল্পিত পারিবারিক ভ্রমণ ছিল।

এখন বুঝতে পারছি, হ্যাঁ, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে আমার আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। আমি এটা স্বীকার করছি। তবে আমার মনোযোগ সব সময় ক্রিকেটের দিকে ছিল—সংসদ সদস্য হওয়ার আগে এবং পরেও। আমাকে কখনো রাজনীতিতে জড়িত হতে বলা হয়নি। আমাকে সব সময় বলা হয়েছে, ’শুধু ক্রিকেট খেল’। তাই আমি সেদিকেই মনোযোগ দিয়েছি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়