ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত নান্নুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রবিবার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের দিঘীরপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব। সংস্থাটি জানায়, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে নান্নুকে সোহাগকে ইট ও সিমেন্টের ব্লক দিয়ে আঘাত করতে দেখা গেছে। তাকে মৃত্যু নিশ্চিত করা চার হামলাকারীর অন্যতম হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
এ নিয়ে সোহাগ হত্যা মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ জনে। এর আগে রবিবার (১৩ জুলাই) সকালেই ঢাকা ও নেত্রকোণা থেকে সজীব ও রাজীব নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কয়েক যুবক সোহাগকে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করা হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হামলাকারীরা ইট-পাথর ও ব্লক দিয়ে তার মাথা ও শরীর থেঁতলে দেয়। তাকে বিবস্ত্র করে শরীরের ওপর উঠে লাফানো হয়।
আরও পড়ুন: বিচার ও বিজয়ের সংকল্পে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
নিহত সোহাগ পুরোনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ বিভিন্ন ধরণের ভাঙারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তিনি একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার। তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ও ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে চাঁদাবাজিকে হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ হিসেবে দেখছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি








