একনেকে ৯ হাজার কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ৮ হাজার ৯৭৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

পরিকল্পনা কমিশনের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৭৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন থেকে আসবে ৩ হাজার ১৮০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ২৩০ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ ও পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ ও পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

সভায় স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র, আইন, নৌপরিবহন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, শিক্ষা, শিল্প, মহিলা ও শিশু বিষয়ক, সংস্কৃতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদন পায়।

আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গুম কমিশনের মেয়াদ বাড়াল সরকার

প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ (দ্বিতীয় পর্যায়), রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, সাতটি বিভাগীয় শহরে ২০০ শয্যার মাদক নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ, চারটি নতুন মেরিন একাডেমিতে সিমুলেটর স্থাপন এবং নারীর বিচারপ্রাপ্তি সহজ করতে ‘Access to Justice for Women’ প্রকল্প।

এছাড়াও অনুমোদন পেয়েছে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন প্রকল্প (দ্বিতীয় সংশোধিত), সার সংরক্ষণের জন্য নতুন ১৩টি বাফার গোডাউন (তৃতীয় সংশোধিত), কিশোর-কিশোরী ক্লাব ও নারী-শিশু সহায়তা সেবা প্রকল্প এবং টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল শিক্ষকদের জন্য ‘TVET Teachers for the Future’ কর্মসূচি।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে উন্নয়ন বাজেট ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল ডাটাবেজ গঠন, পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উন্নয়ন, সরকারি ক্রয়ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও পরিসংখ্যান সক্ষমতা বৃদ্ধির চারটি প্রকল্পও অনুমোদিত হয়।

সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের পাশাপাশি, পরিকল্পনা উপদেষ্টার নিজস্ব ক্ষমতাবলে ইতোমধ্যে অনুমোদিত ১৫টি প্রকল্প সম্পর্কে সভায় উপস্থিত সদস্যদের অবহিত করা হয়।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সেবাক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার হবে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট ও মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের বর্তমান অবস্থান দৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।