গাজায় যুদ্ধবিরতির ডাক জার্মান চ্যান্সেলরের

গাজায় চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বার্লিনে জার্মান পার্লামেন্টে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এখনই সময় গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির।

চ্যান্সেলর মার্জের এ মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন, যা ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে গাজা পরিস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরেই মার্জ যুদ্ধ অবসানের এই আহ্বান জানান।

তবে চ্যান্সেলর মার্জ গাজা যুদ্ধের অবসান চাইলেও, ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও অস্তিত্ব রক্ষার অধিকারকে তিনি স্বীকৃতি দেন। 

তার ভাষায়, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং ইসরায়েলি জনগণকে রক্ষা করার অধিকার তাদের রয়েছে।

তবে এর পাশাপাশি তিনি বলেন, জার্মানিরও অধিকার আছে প্রশ্ন করার—ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আসলে কী অর্জন করতে চায়? 

আরও পড়ুন: ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজাকেও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি

তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, কেবল যুদ্ধবিরতি নয়, গাজার সাধারণ নাগরিকদের—বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্কদের—প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির ঢেউ গাজা উপত্যকাতেও বিস্তারের দাবি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। 

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দপ্তর জানায়, এই পদক্ষেপ পূর্ণতা পাবে তখনই, যখন গাজা উপত্যকাকেও এই যুদ্ধবিরতির আওতায় আনা হবে।

ফিলিস্তিনি নেতারা আশাবাদী, ইরান-ইসরায়েল বিরতির ভিত্তিতে গাজাতেও শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি কূটনৈতিক সুযোগ তৈরি হয়েছে। 

তাদের মতে, এই চুক্তিকে “আরও বিস্তৃত করে গাজায় চলমান সংঘাত অন্তর্ভুক্ত করা হোক।”

গাজায় এখনও প্রতিদিন ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারাচ্ছেন। সম্প্রতি একদিনেই নিহত হন প্রায় ৯০ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির দিকে বেশি, তবুও গাজার চলমান সংকট ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিচ্ছে।