দুর্নীতিতে অভিযুক্ত টিউলিপের সঙ্গে দেখা করবেন না ড. ইউনূস

ছবি: সংগৃহীত
লন্ডন সফরের সময় বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সাক্ষাতের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
শুক্রবার (১৩ জুন) সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বলা হচ্ছে, নিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করতেই টিউলিপ সিদ্দিক সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে অধ্যাপক ইউনূস বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, “এটি আদালতের বিষয়” এবং তিনি বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ওপর আস্থা রাখেন।
দুদকের অভিযোগ, টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কাছ থেকে অবৈধভাবে জমি পেয়েছেন। তবে সিদ্দিক এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন।
সম্প্রতি এক চিঠিতে সিদ্দিক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “এটি দুদকের ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সহায়ক হতে পারে।” কিন্তু ইউনূস বিবিসিকে বলেন, “আমি সাক্ষাৎ করছি না, কারণ এটি একটি আইনগত প্রক্রিয়া। আমি এতে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। প্রক্রিয়াটি চলতে দিন।”
আরও পড়ুন: কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ, সড়কে ফিরতি যাত্রার চাপ
সিদ্দিকের দাবি, তার বিরুদ্ধে এখনও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি এবং দুদক তার আইনজীবীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে না। তিনি বলেন, “তারা এমন একটি ঢাকার ঠিকানায় ভুয়া নথি পাঠাচ্ছে, যেখানে আমি কখনো থাকিইনি।”
ইউনূস বলেন, “আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে মামলাটি এগিয়ে নেওয়া হবে কি না।” টিউলিপের প্রত্যর্পণ চাওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যদি এটি আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হয়, তবে অবশ্যই।”
টিউলিপ সিদ্দিক ইউনূসের সাক্ষাৎ প্রত্যাখ্যানকে “হতাশাজনক” বলে অভিহিত করে বলেন, “আমি এমন একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছি, যার ভিত্তি কল্পনাপ্রসূত অভিযোগ—এগুলোর কোনো প্রমাণ নেই।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নৈতিক উপদেষ্টা যখন অভিযোগ তদন্তের উদ্যোগ নেন, তখন সিদ্দিক মন্ত্রিসভার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি