News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ১৩ জুন ২০২৫

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে হাসিমুখে হোটেল ছাড়লেন তারেক

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে হাসিমুখে হোটেল ছাড়লেন তারেক

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে এক গোপনীয় ও সময়োপযোগী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে লন্ডনে।

শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় লন্ডনের পার্ক লেন এলাকার একটি অভিজাত হোটেলে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শুরু হয় এবং বিকেল সাড়ে ৩টার কিছু পর তা শেষ হয়। 

বৈঠক শেষে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে হাস্যোজ্জ্বল মুখে হোটেল ত্যাগ করতে দেখা যায় তারেক রহমানকে। এরপর তিনি সরাসরি তার লন্ডনের বাসভবনে ফিরে যান।

বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এটি ছিল একান্ত আলোচনা, যা প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে। বৈঠকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, রাজনৈতিক সংস্কার, এবং সদ্য প্রস্তাবিত ‘জুলাই চার্টার’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম। হোটেলে প্রবেশের সময় তারেক রহমানকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান।

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সমঝোতার খোঁজে লন্ডনে তারেক-ইউনূস বৈঠক

প্রেস সচিব শফিকুল আলম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, এই বৈঠকটি কোনো নির্ধারিত আনুষ্ঠানিক ফরম্যাটে না হলেও, দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এই সাক্ষাৎ সময়ের দাবিতেই হয়েছে। তিনি একে ‘গঠনমূলক’ ও ‘প্রাসঙ্গিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

বৈঠকের পরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা ও চলমান সংকট নিয়ে ড. ইউনূস ও তারেক রহমান একটি দায়িত্বশীল আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। আলোচনায় রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, একদিকে দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা, অন্যদিকে সরকারের সঙ্গে বিরোধী পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান—এই প্রেক্ষাপটে এই বৈঠককে অনেকেই দেখছেন সম্ভাব্য সমঝোতার এক ইঙ্গিত হিসেবে।

এটি উল্লেখযোগ্য যে, এই বৈঠকের আগে ড. ইউনূসের দপ্তর থেকেই আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তারেক রহমানকে। ফলে, এটি ছিল এক পূর্বপরিকল্পিত ও আনুষ্ঠানিক গুরুত্ববহ সাক্ষাৎ, যা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথনকশায় প্রভাব ফেলতে পারে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়