জেলা–উপজেলায় কার্যক্রম বাড়াচ্ছে এনসিপি, লক্ষ্য নির্বাচন

আগামী বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সংগঠন গোছাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ২০২৫ সালের জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গঠিত এই নবগঠিত রাজনৈতিক দলটি ইতোমধ্যে চার মাস অতিক্রম করেছে। 

দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, চলতি জুন মাসের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হবে।

দলের যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত জানান, আমরা এখন পর্যন্ত ১০টি জেলা ও ১০০টিরও বেশি উপজেলায় কমিটি গঠন করেছি। বাকি জায়গাগুলোতেও দ্রুত কমিটি দেওয়া হবে। আমরা নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করেছি বলেই মনে করি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমরা জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছুক তরুণদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। বিশেষ করে অভ্যুত্থানের সময় যারা মাঠে ছিলেন, তাদেরকেই আমরা সংগঠনের কেন্দ্রবিন্দুতে আনতে চাই।

দলটির জাতীয় যুব শক্তির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লবের চেতনা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষকে একত্রিত করতে চাই। একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।

আরও পড়ুন: ‘আমরাই এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মাফিয়া’

বর্তমানে ঈদুল আজহার ছুটিতে এনসিপির নেতাকর্মীরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ এবং মতবিনিময় চলছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, শুধু বিভাগীয় শহর নয়, এনসিপিকে গ্রাম-গঞ্জ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে হবে। তৃণমূল জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। এ জন্য দলীয় নেতারা কাজ ভাগ করে নিতে পারেন।

তিনি আরও যোগ করেন, নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে তাদের মাঠপর্যায়ে সক্রিয়তা, সংগঠন কাঠামো ও রাজনৈতিক কৌশলকে বাস্তবসম্মত করতে হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এনসিপি ইতোমধ্যে দলীয় প্রতীক নির্ধারণে ১০টি প্রতীকের প্রাথমিক তালিকা করেছে। তালিকায় রয়েছে এমন সব চিহ্ন যা বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এবং গ্রামীণ সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করে। দলীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতীক নির্বাচন করা হবে।