জোড়া খুনের আসামি এমপিপুত্র রনি কারাগারে

ঢাকা: চার দিনের রিমান্ড শেষে বখতিয়ার আলম রনিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে দুজন নিরীহ মানুষকে হত্যার ঘটনায় তাকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছিলেন আদালত।

বখতিয়ার সংসদ সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিনু খানের ছেলে।

শনিবার রিমান্ড শেষে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বখতিয়ারকে আদালতে হাজির করে। তার জামিন ও চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি হবে ১৬ জুন।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বখতিয়ার যে গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছেন, সেই গাড়িটির মালিক তার মা। ওই প্রাডো গাড়িটি দু-এক দিনের মধ্যে জব্দ করা হবে।

মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বখতিয়ার নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি থেকে লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে দুই ব্যক্তিকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। বখতিয়ার জানান, প্রাডো গাড়িটি তার মা পিনু খান সাংসদের কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে কিনেছিলেন। গত ১৩ এপ্রিল রাতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার পর অন্য তিন বন্ধু তার সঙ্গে গাড়িতে ওঠেন। তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও কামাল যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অপর বন্ধুটি আওয়ামী লীগ করেন।

বখতিয়ার তদন্ত কর্মকর্তাদের বলেন, ওই রাতে তারা প্রথমে বাংলামোটরের একটি বারে যান। এরপর হোটেল সোনারগাঁওয়ে যান। সেখান থেকে বখতিয়ার তার গাড়িতে করে মগবাজারে নামিয়ে দেন জাহাঙ্গীরকে। এরপর গাড়ি ঘুরিয়ে বাংলামোটর হয়ে হাতিরপুলে যান। নিউ ইস্কাটনে রাত পৌনে দুইটায় যানজটে পড়লে তিনি এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। তখন তিনি চালকের পাশের আসনে বসে ছিলেন। আর পেছনের আসনে ছিলেন কামালসহ দুই বন্ধু। এরপর হাতিরপুলের বাসার সামনে কামালকে এবং অন্যজনকে আরেক স্থানে নামিয়ে ধানমন্ডির বাসায় ফেরেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে বখতিয়ার বলেন, তার কোনো রোগ নেই। পুলিশের হাতে ধরা পড়ায় তিনি ভয় পেয়েছিলেন। এ কারণে অসুস্থতার ভান করেছেন।

১৩ এপ্রিল গভীর রাতে নিউ ইস্কাটনে প্রাডো গাড়ি থেকে গুলি ছোড়া হলে রিকশাচালক হাকিম ও জনকণ্ঠ পত্রিকার অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম এবং ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ বখতিয়ার ও তার গাড়িচালক ইমরান ফকিরকে জড়িত বলে শনাক্ত করে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এজে