News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ২৫ জুন ২০২৫
আপডেট: ১৭:০৪, ২৫ জুন ২০২৫

এনসিসি থেকে সরে এলো ঐকমত্য কমিশন

এনসিসি থেকে সরে এলো ঐকমত্য কমিশন

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে এসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশন এখন বিকল্প হিসেবে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’ গঠনের নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। 

বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপে এই তথ্য জানান কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত, আপত্তি ও উদ্বেগ আমলে নিয়েই এনসিসি থেকে সরে এসে নতুন কাঠামোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পূর্ববর্তী প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে একাধিক দল আপত্তি জানায়। 

তাদের মতে, নির্বাহী ও বিচার বিভাগের শীর্ষ পদধারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ততা প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। সে পরিপ্রেক্ষিতেই কমিশন এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রস্তাবিত ‘নিয়োগ কমিটি’ হবে সাত সদস্যের, যার সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার। 

অন্যান্য সদস্যরা হলেন প্রধানমন্ত্রী, সংসদের উচ্চকক্ষের স্পিকার (যদি গঠিত হয়), বিরোধীদলীয় নেতা, প্রধান বিরোধী দল ব্যতীত অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর একজন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির মনোনীত একজন প্রতিনিধি (যিনি আইন অনুযায়ী যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন), এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। 

আরও পড়ুন: পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য আমরাই দায়ী: প্রধান উপদেষ্টা

এই কমিটি শুধুমাত্র সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহ—যেমন নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, অডিট বিভাগ ইত্যাদির নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

তবে এই কমিটির আওতায় থাকবে না বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধান, কিংবা অ্যাটর্নি জেনারেল-এর পদে নিয়োগ। 

কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তা ও বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এসব সংবেদনশীল নিয়োগ আলাদা প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। 

তিনি জানান, এই সংলাপে ৩২টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয় এবং পাঁচটি মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়: রাষ্ট্রের মূলনীতি, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, নারী প্রতিনিধিত্ব এবং এনসিসি। আলোচনায় নতুন নিয়োগ কমিটির কাঠামোকে অনেক দল ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করলেও কিছু দল উচ্চকক্ষ এখনও গঠিত না হওয়ায় তার স্পিকারের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে যেমন সবাই মিলে আন্দোলন হয়েছে, তেমনি ‘জুলাই সনদ’ রচনার কাজেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাষ্ট্র ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক ছাড় দেওয়ার মনোভাবই এই প্রক্রিয়াকে সফল করবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়