পিলখানা হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্ত কমিশন

ফাইল ছবি
২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন কিছু রাজনৈতিক নেতার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন বিডিআর বিদ্রোহ বিষয়ক জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিআরআইসিএম নতুন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'পিলখানা হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি আমরা পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কারও নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।'
কমিশন সভাপতি আরও বলেন, তৎকালীন তদন্ত কমিটি চরম অবহেলা করেছে। এমনকি গণমাধ্যমগুলোও অনেক সময় ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছে। সময়মতো সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে হতাহতের সংখ্যা অনেক কম হতো।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য আমরাই দায়ী: প্রধান উপদেষ্টা
ফজলুর রহমান জানান, কমিশন এ পর্যন্ত ১৫৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে এবং বাকি ৫০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া এখনও বাকি রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবীর নানক এ বিষয়ে লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে সংঘটিত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, নারীসহ মোট ৭৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে শোক ও চরম প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি