দুদকের তলব ঠেকাতে ডিএজি রূপার রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাঠানো নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপার রিট আবেদন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হলে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তা কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
রবিবার ডিএজি রূপার পক্ষে তার আইনজীবী হিসেবে সুরাইয়া বেগম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন।
রিটের পক্ষে শুনানিতে আইনজীবী ছিলেন জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী সুরাইয়া বেগম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
রিটটি উপস্থাপন করা হলে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক রিট আবেদনকারীর পরিচয় জানার পর বলেন, ‘তিনি তো আমাদের প্রতিবেশী। আমরা পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকি। তাই এটা (রিটটি) না হয় আপনারা শুনানির জন্য অন্য জায়গায় (বেঞ্চে) নিয়ে যান। আরও বেঞ্চ তো আছে। যেহেতু আমরা কাছাকাছি থাকি, তাই এটা আমরা শুনতে চাচ্ছি না।’ এরপর আদালত আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
ডিএজি জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৮ অক্টোবর দুদক নোটিশ দেয়। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে আগামী ৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় তাকে রেকর্ডপত্র-কাগজপত্রসহ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
ওই নোটিশে ডিএজি রূপার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণপূর্বক জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সাথে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়।
নোটিশ পাওয়ার পর রবিবার করা রিটে দুদকের ওই নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়ার পাশাপাশি রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছিল।
হয়রানি করার জন্য অসৎ উদ্দেশ্যে বিধি বিহির্ভূতভাবে জারি করা ওই নোটিশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল জারির আবেদন জানানো হয়। রিট আবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশেনর চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান এবং তদন্ত-২) এবং উপরিচালককে (বিশেষ অনুসন্ধান এবং তদন্ত-২) বিবাদী করা হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস