News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:৩০, ৯ নভেম্বর ২০২০
আপডেট: ১০:১৫, ১০ নভেম্বর ২০২০

৯০ শতাংশ সফল করোনার প্রথম ভ্যাকসিন

৯০ শতাংশ সফল করোনার প্রথম ভ্যাকসিন

প্রথম কোনো ক্যানডিটেড ভ্যাকসিন যা ৯০ শতাংশের বেশি মানুষকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পেরেছে। প্রাথমিক এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার অ্যান্ড বায়োএনটেক একে বিজ্ঞান এবং মানবতার জন্য মহৎদিন বলে অভিহিত করেছে।

ফাইজার এবং বায়োএনটেকের ক্যানডিটেড ভ্যাকসিনটি ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষের শরীরে পরীক্ষা করা হয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এ মাসের শেষের দিকে জরুরি অনুমোদনের জন্য আবেদন জানাবে সংশ্লিষ্টরা।

কার্যকরি একটি ভ্যাকসিনকে ভালো চিকিৎসার পাশাপাশি সংক্রমণ থেকে রক্ষায় আরোপ করা বিধিনিষেধ থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রায় এক ডজনের মতো ক্যারোনা ভ্যাকসিন চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রয়ালে রয়েছে। যাকে তৃতীয় ধাপের ট্রয়াল বলা হয়। 

ফাইজার অ্যান্ড বায়োএনটেক প্রথমবারের মতো এমন ফলাফল জনসম্মুখে প্রকাশ করলো। তাদের ভ্যাকসিন সম্পূর্ণভাবে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে। যার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

আগের ট্রায়ালগুলোতে দেখা হয়েছে, ভ্যাকসিন কীভাবে শরীরে অ্যান্টিবডি এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরস্কে ট্রায়াল চালানো হয়। তিনদিনে ২ ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হয়। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার সাতদিনের মধ্যে ৯০ শতাংশ ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে বলে জানায় ফাইজার এবং বায়োএনটেক।

ফাইজারের পরিকল্পনা, এ বছরের শেষ নাগাদ ৫ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তারা সরবরাহ করবে তারা। ২০২১ সালের ১০০ কোটি ৩০ লাখ ডোজ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা তাদের।

তবে এক্ষেত্রে কৌশগত ঝুঁকি রয়েছে। ভ্যাকসিন কার্যকর রাখতে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে আল্টা কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করতে হয়।

প্রশ্ন রয়েছে ভ্যাকসিন গ্রহণের পর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কতদিন পর্যন্ত বহাল থাকবে তা নিয়েও। বিভিন্ন বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা নিয়েও কিছু জানায়নি ফাইজার অ্যান্ড বায়োএনটেক।

ফাইজারের চেয়ারম্যান ডা. আলবার্ট বাউরলা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে চলমান স্বাস্থ্য সংকট থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে সফল একটি ভ্যাকসিন তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপে আমরা রয়েছি।

বায়োএনটেকের সহপ্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক উগুর সাহিন তাদের উদ্ভাবনকে মাইলফলক হিসেব অবিহিত করেছেন।

যে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো চূড়ান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার নয়। করোনা আক্রান্ত প্রথম ৯০ জন স্বেচ্চাসেবীর ওপর চালানো পরীক্ষার ফলাফল এগুলো। চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়ার পর সুনির্দিষ্ট কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলেও জানায় ফাইজার অ্যান্ড বায়োএনটেক।

ফাইজার অ্যান্ড বায়োএনটেকের কাছে  ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের অর্ডার করেছে যুক্তরাজ্য। তাদের গবেষণার নতুন তথ্যকে খুবই আনন্দের বলে উল্লেখ করেছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রফেসর পিটার হোর্বে।

 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়