News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ৭ অক্টোবর ২০১৫
আপডেট: ১৬:০৮, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা

ছাত্র ধর্মঘটে ব্যাপক সাড়া

ছাত্র ধর্মঘটে ব্যাপক সাড়া

ঢাবি: সারাদেশে পালিত ছাত্র ধর্মঘটে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। প্রতিবাদী মিছিল ও স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা বাতিল ও পুনরায় পরীক্ষা নেওয়াসহ চারদফা দাবিতে সারাদেশে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘট চলছে। প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য এ ধর্মঘট পালন করছে।

বুধবার সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে এ কর্মসূচি পালন করছে তারা।

অন্যদিকে সারাদেশের সকল মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

এ ধর্মঘটে দারুণভাবে সাড়া দিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদী মিছিল স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অঙ্গন। তাদের অন্য দু’টি দাবি হচ্ছে লাগাতার প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে হবে ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশী হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

আন্দোলনকারীদের এ দাবিগুলোর প্রতি শতভাগ সমর্থন দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। তাদের দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক বলে জানিয়েছেন ঢাবি-র প্রক্টর ড. এম আমজাদ আলী।

তিনি বলেন, আন্দোলন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তারা সেটি করতেই পারে। আর সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করলে আমরা তাতে বাধা দিব না বরং তাদের সহযোগিতা করব।

এদিকে ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় ক্যাম্পাসের দূরপাল্লার বাসগুলো ছেড়ে যায়নি। কিছু শিক্ষার্থী ক্লাস করতে এলেও পরে আন্দোলনে যোগ দেয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে না আসায় ক্যাম্পাস বই-খাতা বা ব্যাগ হাতে খুব বেশি শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। তবে ফাইনাল পরীক্ষাসমূহ ধর্মঘটের আওতামুক্ত রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলা অনুষদের আরেক শিক্ষক বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি অভিশাপ। এটি গুরুতর অপরাধজনিত একটি কাজ। যা একটি যোগ্য জাতিকে বঞ্চিত করে অযোগ্যদের দিয়ে দেশ পরিচালনার পথ তৈরি করে দেয়। যা দেশ ও জাতির জন্য খুবই হতাশাজনক।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তফা কামাল বলেন, প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে একটি মেধাবী ছাত্র তার প্রাপ্য অধিকার থেকে সরাসরি বঞ্চিত হয়। এবার মেডিকেলের যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কেন সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাদের এ ধর্মঘট যৌক্তিক। তাতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই না ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকুক। কিন্তু মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি পুরো জাতিকে নাড়া দিয়েছে। এর জন্য শুধু ধর্মঘট নয়, বরং আরও বৃহৎ আন্দোলন হলেও তাতে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। অসৎ পথে একজন লোক ডাক্তার হয়ে দেশের কি সেবা করবে তা আমি বুঝতে পারছি না। আমি চাই সরকার অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নিক।

প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক ইমরান হাবিব রুমন জানান, আমাদের আন্দোলন শতভাগ সফল হয়েছে। আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের যেভাবে সমর্থন পেয়েছি তা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আমাদের একটাই দাবি সরকার যেন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করেন। আমাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে একটু ভাবেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এবিওয়াই/এফই

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়