জামায়াতকে বেশি কথা বলতে দেওয়ায় ওয়াক আউট গণফোরাম-সিপিবির

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে জামায়াত নেতাদের বেশি কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে দাবি করে সংলাপ থেকে ওয়াক আউট করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণফোরামসহ কয়েকটি দলের প্রতিনিধিরা। অবশ্য মিনিট দশেক পর দলগুলো আবার সংলাপে ফিরে যায়।
বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্য শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে প্রথমে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান হৈ চৈ করে সংলাপস্থল থেকে বের হয়ে যান।
এ সময় তিনি বলেন, এখানে কিসের সংলাপ হচ্ছে, কার সাথে সংলাপ করবো। তারা যা ইচ্ছা তাই করছে।
এরপর বের হন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ দুইজন। মিজানুর রহমান অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। তখন তাকে জড়িয়ে ধরে সংলাপস্থলে যাওয়ার অনুরোধ করেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম।
তবে সে সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন রুহিন হোসেন প্রিন্স। পরে কথা বলেন সেলিম।
রুহিন হোসেন প্রিন্স নীচতলায় নেমে বলেন, এখানে বৈষম্য হচ্ছে, জামায়াতের তিনজনকে বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়েছে। আমাদের একজন বক্তব্য দিতে গেলেও বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ জানালে, কমিশন তা নোট করে। তাই আবার সংলাপে ফিরে যাচ্ছি।
ইশরাকের কর্মকাণ্ড স্পষ্ট আইন লঙ্ঘন: উপদেষ্টা আসিফ
এর আগে রুহিন হোসেন বলেন, ঐকমত্য কমিশন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। তারা নিরপেক্ষ না হলে কমিশন সংলাপে ফিরবে না।
সিপিবি এবং গণফোরাম নেতাদের সংলাপে ফিরিয়ে নিতে নেমে আসেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। ছিলেন বিএনপির সমমনা দল বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহছান হুদা।
শাহাদাত সেলিম বলেন, উনাদের জামায়াত বলেছেন, আপনারা তো ১০ জন মানুষের প্রতিনিধিত্বও করেন না। আমরা কতজনের প্রতিনিধিত্ব করি। সেলিম আরও জানান, তিনি ওয়াক আউট করেননি। সমঝোতা করেছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি