News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ৪ জুন ২০২৫

২০২৭ সালে মাধ্যমিকে নতুন পাঠ্যক্রম প্রবর্তন

২০২৭ সালে মাধ্যমিকে নতুন পাঠ্যক্রম প্রবর্তন

ছবি: সংগৃহীত

২০২৭ সাল থেকে দেশের মাধ্যমিক স্তরে নতুন ও পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চালু করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং এরপর ধাপে ধাপে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করা হবে। 

বুধবার (৪ জুন) এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম তথ্য জানিয়েছেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক রফিকুল আবরার বলেন, আমরা নতুন স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়ে শিক্ষাক্রম তৈরি করছি যেখানে প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তি, দায় ও ইনসাফের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে। বর্তমান শিক্ষাক্রম থেকে মুক্ত চিন্তা করে একটি মানসম্মত ও আধুনিক শিক্ষাক্রম তৈরি করার লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা প্রয়োজন। 

তিনি আরও জানান, বর্তমানে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম চলমান থাকবে, তবে নতুন শিক্ষাক্রমের ভিত্তি তৈরির কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং ২০২৭ সালের ষষ্ঠ শ্রেণিতে নতুন পাঠ্যবই প্রদান করা হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের জানান, একযোগে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা যুক্তিযুক্ত নয়। বরং নতুন শিক্ষাক্রম ধাপে ধাপে শ্রেণি অনুযায়ী প্রবর্তিত হবে, যা শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করবে। 

তিনি বলেন, আমরা আশা করি ২০২৭ সাল থেকে শুরু করে এই পরিবর্তন সম্পূর্ণ কার্যকর করা সম্ভব হবে। 

আরও পড়ুন: ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

এছাড়া এনসিটিবি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এন্ড ভোকেশনাল ট্রেনিং) ইতোমধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজ প্রায় শেষ করেছে। আগামী ১ জুলাই থেকে কলেজ পর্যায়ে শিক্ষকদের বদলির অনলাইন কার্যক্রম শুরু হবে এবং তা কয়েক মাসের মধ্যে বিদ্যালয় পর্যায়েও চালু হবে।

শিক্ষা উপদেষ্টা আরও জানান, দেশের ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করার কাজ চলছে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় ৬২টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণসুবিধার জন্য সরকার ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড ও ২০০ কোটি টাকা নগদ বরাদ্দ দিয়েছে।

অধ্যাপক আবরার বলেন, আমার দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র দুই মাস হয়েছে, কিন্তু এই সময়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের সূচনা করেছি। আগামী সময়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে যথাসম্ভব সময় এবং মনোযোগ দিয়ে কাজ করে যাব।

শিক্ষা সংস্কার নিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকারের অধীনে একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা কমিশন কার্যকর হওয়া সম্ভব হবে না, তাই আমরা বিকল্প পদ্ধতিতে দেশব্যাপী পরামর্শ সভা ও জাতীয় কনভেনশন আয়োজনের মাধ্যমে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছি। আশা করি এই বছর অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য একটি ডকুমেন্ট ঘোষণা করা হবে।

সরকারের এই উদ্যোগ শিক্ষাব্যবস্থায় প্রযুক্তি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তৃত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য অধিকতর মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়