কেন ঘুমের ঘোরে কথা বলা হয়?

ছবি: ইন্টারনেট
ঘুমিয়ে আছেন। হঠাৎ পাশের মানুষটি ঘুমের মধ্যে বিড়বিড় করে কথা বলে উঠল। অথবা সকালে কেউ জানাল, আপনি রাতে ঘুমের ঘোরে অনেক কথা বলেছেন- যার কিছুই আপনার মনে নেই। এমন অভিজ্ঞতা কম-বেশি অনেকেরই হয়েছে।
ঘুমের মধ্যে কথা বলা একটি ঘুমসংক্রান্ত স্বাস্থ্য সমস্যা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলা হয় স্লিপ টকিং বা নাইট টেরর। তবে কেন এমন ঘটে? বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস এই সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। চলুন জেনে নিই-
১. অ্যালকোহল বা মদ্যপান:
অনেকেরই মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে। বিশেষত রাতের দিকে এই অভ্যাস বেশি দেখা যায়। এর প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালকোহল কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এটি স্ট্রেস হরমোন। এর কারণে ব্রেনের ওপর চাপ পড়ে। যা থেকে ঘুমে কথা বলার সমস্যা দেখা দেয়।
২. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা:
অনেকেই কোনো একটি ঘটনা নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করেন। হয়তো ঘটনাটি নিয়ে ততটা ভাবার কিছু নেই। তবুও দুশ্চিন্তার অভ্যাসের জেরে অনেকেই তা নিয়ে ভাবতে থাকেন। এভাবে সারাদিন কর্মস্থল ও বাড়িতে নানা কথা মনের মধ্যে ভাবনা তৈরি করে। অতিরিক্ত স্ট্রেস সৃষ্টি হয়। যার জেরে ঘুমের মধ্যেও একই চিন্তা মাথায় ঘোরে। তার কিছু কথাই মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: যে ভিটামিনের অভাবে মনে সারাক্ষণ নোংরা চিন্তা আসে
৩. বেশিক্ষণ জেগে থাকা:
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই ব্যস্ত জীবন পার করেন। সোশ্যাল মিডিয়া, সিনেমা দেখা, মোবাইল স্ক্রলিং করতে গিয়ে অনেকেই গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। ফলে সারাদিনে ঘুমের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। সুস্থ থাকতে দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। নয়তো স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে। যার কারণে স্লিপ টেরর হতে পারে। কারণ আপনার কথা বলা নিয়ন্ত্রণ করছে আদতে আপনার মস্তিষ্ক।
৪. স্লিপ অ্যাপনিয়া:
ঘুমের মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ কিছুক্ষণের জন্য শ্বাসপ্রশ্বাস থেমে যাওয়ার সমস্যাকে স্লিপ অ্যাপনিয়া বলা হয়। এই সমস্যা থাকলে ঘুমজনিত নানা রোগ দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ঘুমের মধ্যে কথা বলা।
প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। স্বাস্থ্য নিয়ে যেকোনো প্রশ্ন, যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য চিকিৎসক বা পেশাদার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি