নির্বাচন রুখতে মাঠে ইউনূস: মির্জা আব্বাস

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় তুলেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। 

শুক্রবার (৩০ মে) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চন্দ্রিমা উদ্যানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আব্বাস বলেন, একটি দল নির্বাচন চায় না—এমন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, একজন ব্যক্তি নির্বাচন চান না। তিনি হচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মির্জা আব্বাস বলেন, বিদেশে বসে ড. ইউনূস বলেছেন— একটি দল শুধু নির্বাচন চায়। অথচ আমরাই বলে আসছি, নির্বাচন হতে হবে ডিসেম্বরের মধ্যেই। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই ডিসেম্বরের সময়সীমার কথা প্রথমে তিনিই (ড. ইউনূস) বলেছেন। পরে আবার সেই সময়সীমা নিজেই জুনে সরিয়ে নিলেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই নির্বাচন চান?

তিনি আরও বলেন, যদি নির্বাচন না হয়, তার দায় সম্পূর্ণ ড. ইউনূসকেই নিতে হবে। কারণ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে এবং এ দেশের ভৌগোলিক অবস্থানও অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। 

আরও পড়ুন: ৪৪ বছর পরও অমলিন জিয়াউর রহমান

সরকারের ‘সংস্কার’ প্রচেষ্টারও তীব্র সমালোচনা করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কথিত সংস্কারের নামে বিদেশি পরামর্শক আমদানি করেছে। অথচ জিয়াউর রহমান বহু সংস্কার করলেও কখনো বিদেশি উপদেষ্টা আনেননি। আজ সরকারের সেই সংস্কারের ধারা এতটাই প্রশ্নবিদ্ধ যে, তারা নিজেরাই নির্বাচন দিতে চায় না।

আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, সরকার চাচ্ছে না দেশে একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। আর এই প্রক্রিয়ায় তারা নিজেদের দোষ চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর। অথচ আমরাই শুরু থেকেই বলে এসেছি— নির্দলীয় সরকারের অধীনে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাই।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, লুৎফুজ্জামান বাবর, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ও ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিটের শতাধিক নেতা-কর্মী সেখানে যোগ দেন।

প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝেও রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীদের চন্দ্রিমা উদ্যানে আসতে দেখা যায়। এ সময় সবার হাতে ছিল কালো ব্যাজ, চোখে ছিল শোক আর কণ্ঠে ছিল নির্বাচনের দাবি।