নয়াপল্টনে তরুণ সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল

ছবি: সংগৃহীত
নয়াপল্টনে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন — জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল — উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো বিশাল তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ।
বুধবার (২৮ মে) সকালে ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের নানা ওয়ার্ড ও থানা থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে মিছিল হয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনের সামনে একত্রিত হন।
‘তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ শ্লোগানে দিনের বেলায় শুরু হওয়া এই কর্মসূচি মূলত তরুণদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতির প্রতিবাদ হিসেবে আয়োজন করা হয়।
চলমান কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ার পর রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে এ বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো, যেখানে কয়েক লাখ তরুণের উপস্থিতির প্রত্যাশা প্রকাশ করা হয়।
দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠে। গান, স্লোগান ও নৃত্যে পরিবেশ প্রাণবন্ত ছিল। মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। স্লোগানে ও সংগীতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং তারেক রহমানের নাম উচ্চারিত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার তরুণ সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপির তিন সংগঠন
ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, আজকের তরুণরা রাজনীতি থেকে বঞ্চিত; তাদের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশে বাধা রয়েছে। এই সমাবেশ সেই বঞ্চনার প্রতিবাদ। ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে তরুণরা ঐক্যবদ্ধ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সমাবেশস্থল ও আশেপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন। যানজট এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ রাখা হয়।
একজন ছাত্রদল কর্মী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল গাফফার জানান, দেশের ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সী প্রায় সাড়ে তিন কোটি ভোটারের মধ্যে তরুণরা দীর্ঘদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত ছিল। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্রুত নির্বাচিত সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে।
মে মাসজুড়ে চলা এই কর্মসূচি আগামী দিনে তরুণদের রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা মনে করছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি