News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০:৪২, ২৬ মে ২০২৫

মানবাধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে: তারেক রহমান

মানবাধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে: তারেক রহমান

ফাইল ছবি

২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা অন্তত ৬৬৬ জন—এমনটি দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তার মতে, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে, কারণ অনেক আতঙ্কিত পরিবারই গুমের ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশে সাহস পায়নি।

সোমবার (২৬ মে) ‘আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রতি বছর মে মাসের শেষ সপ্তাহে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে এই সপ্তাহটি আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হয়।

বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই আজও নিখোঁজ। অনেকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আবার কারো কারো হদিস বহু বছর পর গ্রেপ্তার দেখানোর মধ্য দিয়ে মিলেছে। এসব ঘটনা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত একটি নিষ্ঠুর দুঃশাসনের প্রতিচ্ছবি।

তিনি উল্লেখ করেন, গুমের শিকারদের বেশিরভাগই বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক কর্মী ও সমর্থক হলেও ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ নাগরিকরাও এই নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। 

আরও পড়ুন: স্বৈরাচার গেলেও গণতন্ত্র ফেরেনি: গয়েশ্বর

তারেক রহমান আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ১০-১৫ বছরেও ফিরে আসেননি। রোম সংবিধি অনুযায়ী, জোরপূর্বক গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এটি কোনো সভ্য সমাজের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।

তিনি রাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। আর যেন কোনো নাগরিক রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার না হন, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

বিবৃতিতে তিনি গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেন, এই পরিবারগুলো শুধু প্রিয়জন হারায়নি, বরং বছরের পর বছর ধরে অনিশ্চয়তা, শোক ও আতঙ্ক নিয়ে জীবন পার করছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো মানবিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব।

এদিকে আলাদা এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশে গুমের সংস্কৃতি গভীরভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিবাদ সত্ত্বেও আওয়ামী সরকার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের পাইকারি হারে গুম করেছে। সরকার সবসময় এই অভিযোগ অস্বীকার করে এলেও বাস্তবতা ভিন্ন। গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক সরকার ছাড়া এই দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি অসম্ভব।

তারেক রহমান এবং বিএনপির ভাষ্য অনুযায়ী, গুমের ঘটনাগুলো শুধু ব্যক্তি ও পরিবার নয়, গোটা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়