‘শান্তিমিশনে বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত বাংলাদেশ’

বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

তিনি বলেন, শান্তিরক্ষী মিশনে আমাদের বাহিনীর পেশাদারিত্ব, সাহসিকতা ও নিষ্ঠা আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত। জাতিসংঘ মিশনে অংশগ্রহণের পর থেকেই বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল ও প্রশংসিত সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত পুরাতন বিমানবন্দর মসজিদ কমপ্লেক্স এলাকায় আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘পিসকিপারস রান’-এর পর এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শান্তি মিশনে অংশগ্রহণকারী সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা শুধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের কাজই করছেন না, তারা সেখানে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন।

তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনীর দক্ষতা, প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

আরও পড়ুন: নির্বাচনের প্রস্তুতিতে আন্তরিক সরকার: ড. ইউনূস

বিশ্বের বিভিন্ন সংকটময় পরিস্থিতিতে আমাদের শান্তিরক্ষীরা ইঞ্জিনিয়ারিং, লজিস্টিক এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে যেভাবে অবদান রাখছে, তা বাংলাদেশকে গর্বিত করেছে, বলেন তিনি।

নারী শান্তিরক্ষীদের ভূমিকাও আলাদাভাবে তুলে ধরেন উপদেষ্টা। 
উপদেষ্টা বলেন, নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ শুধু শান্তিরক্ষী মিশনকেই নয়, বাংলাদেশকেও সম্মানিত করছে। আন্তর্জাতিক মহলে এর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি।

পিসকিপারস রান-এ অংশগ্রহণ করেন জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালনকারী বিভিন্ন পর্যায়ের বাহিনী সদস্যরা। তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনের সড়ক ঘুরে শেষ হয় ফ্যালকন হলে। আয়োজনটি শান্তিরক্ষীদের প্রতি সম্মান জানানো এবং নতুন প্রজন্মকে এ বিষয়ে সচেতন করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় সাত হাজারের বেশি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী কাজ করছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী সদস্যও রয়েছেন, যারা স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সফল ভূমিকা রেখে চলেছেন।