News Bangladesh

জেলা সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:৩৫, ৩০ মে ২০২৫

উপকূলীয় নিচু এলাকা পানির নিচে, দুর্ভোগ চরমে

উপকূলীয় নিচু এলাকা পানির নিচে, দুর্ভোগ চরমে

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ উপকূল অতিক্রম করলেও এর প্রভাবে কক্সবাজারে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) মধ্যরাত থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে

শুক্রবার (৩০ মে)  দুপুর ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ২৪ ঘণ্টায় ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে, ফলে জেলার উপকূলীয় নিচু এলাকার অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৩০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েন হাজারও মানুষ। বিশেষ করে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নিচু এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। 

এদিকে, শুক্রবার সকালে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ছেড়াদিয়া এলাকায় বজ্রপাতে মো. ইমন নামের মৎস্য ঘেরের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফের শাহপরীদ্বীপ, মহেশখালীর ঘটিভাঙ্গা ও মাতারবাড়ী এবং কুতুবদিয়ায় জোয়ার পানিতে বিলীন হয়েছে শতাধিক বসতঘর। 

আরও পড়ুন: পার্বতীপুরে ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজির সময় এনসিপি নেতা আটক

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা স্বাভাবিকের চাইতে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি। গভীর নিন্মচাপটি উপকূল অতিক্রম করে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে শনিবার পর্যন্ত মাঝারি, ভারী ও অতিভারী বৃষ্টিপাত এবং পাহাড় ধসের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথ এবং কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে স্পিডবোট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়