এবি ব্যাংকের ২৩৬ কোটি টাকা আত্মসাত, দুদকের ৩ মামলা

এবি ব্যাংকের ২৩৬ কোটি ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে প্রথম মামলায় ২৩ জন, দ্বিতীয় মামলায় ২৩ জন ও তৃতীয় মামলায় ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুদক পরিচালক প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য মামলার বিষয়টি জানান।
প্রনব কুমার জানান, আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ঋণ গ্রহণের নামে মিথ্যা তথ্য দিতেন। একইসঙ্গে ঋণ প্রস্তাব পাঠিয়ে ও অনুমোদন করে ব্যাংকের ২৩৬ কোটি ৮ লাখ টাক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাচার করেন।
প্রথম মামলার আসামিরা হলেন- এএনএম তায়েবুর রশিদ, এবি ব্যাংকের সাবেক হেড অব ওবিও (ইপিজেড) মো. লোকমান হোসেন, সাবেক এসএভিপি (ওবিও) মো. শাহজাহান, সাবেক পিও মো. আরিফ নেওয়াজ, সাবেক ইভিপি কাজী আশিকুর রহমান ও কাজী নাসিম আহমেদ, সাবেক এসইভিপি ও হেড অব বিজনেস আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক এসইভিপি ও হেড অব সিআরএম সালমা আক্তার, সাবেক ডিএমডি মশিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমডি শামীম আহমেদ চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক পরিচালক মো. এম এ আউয়াল, ফাহিম উল হক, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন ও মো. ইমতিয়াজ হোসেন, পরিচালক ফিরোজ আহমেদ, বিবি সাহা রায় ও মো. মেজবাউল হক, ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব অপারেশনস সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক ইভিপি মো. শাহজাহান, মো. আমিনুর রহমান ও সরফুদ্দিন আহমেদ।
প্রথম মামলার অভিযোগের বলা হয়েছে- আসামিরা প্রতারণার আশ্রয়ে একে অন্যের সহায়তায় ঋণ গ্রহণের নামে মিথ্যা তথ্য দিতেন এবং ঋণ প্রস্তাব পাঠিয়ে তা অনুমোদন করে ব্যাংকের ১৬০ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাচার করেন। দেশের আইনে যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
দ্বিতীয় মামলার আসামিরা হলেন- মো. লোকমান হোসেন, মো. শাহজাহান, মো. আরিফ নেওয়াজ, মো. সালাহ উদ্দিন, কাজী আশিকুর রহমান, কাজী নাসিম আহমেদ, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সালমা আক্তার, মশিউর রহমান চৌধুরী, এবি ব্যাংকের সাবেক এমডি শামীম আহমেদ চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক পরিচালক মো. এমএ আউয়াল ও ফাহিম উল হক, ফিরোজ আহমেদ, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, শিশির রঞ্জন বোস, বিবি সাহা রায়, মো. মেজবাউল হক, ড. মো. ইমতিয়াজ হোসেন, ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব অপারেশনস সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক ইভিপি অ্যান্ড হেড অফ আইসিসিডি মো. শাহজাহান, ইভিপি অ্যান্ড হেডঅফ আইসিসিডি মো. আমিনুর রহমান, সাবেক ইভিপি সরফুদ্দিন আহমেদ।
দ্বিতীয় মামলার অভিযোগের বলা হয়েছে- আসামিরা প্রতারণার আশ্রয়ে একে অন্যের সহায়তায় ঋণ গ্রহণের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ প্রস্তাব পাঠান ও অনুমোদন করে ব্যাংকের ৬০ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাচার করেন। যা দেশের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ । মামলাটির বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক নারগিস সুলতানা।
তৃতীয় মামলায় আসামিরা হলেন- মো. লোকমান হোসেন, মো. আরিফ নেওয়াজ, মো. সালাহ উদ্দিন, ব্যাংকটির এভিপি পানেট চক্রবর্তী, সাবেক এসইভিপি আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সালমা আক্তার, মশিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, মো. এমএ আউয়াল, ফাহিম উল হক, ফিরোজ আহমেদ, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, শিশির রঞ্জন বোস, বিবি সাহা রায়, মো. মেজবাউল হক, জাকিয়া এসআর খান, সাজ্জাদ হোসেন, মো. শাহজাহান, মো. আমিনুর রহমান, সরফুদ্দিন আহমেদ।
তৃতীয় মামলার অভিযোগের বলা হয়েছে- আসামিরা প্রতারণার আশ্রয়ে একে অন্যের সহায়তায় ঋণ গ্রহণের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ প্রস্তাব পাঠান এবং তা অনুমোদন করে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাচার করেন। যা দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/ডি