News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২০
আপডেট: ০৩:০৫, ১১ ডিসেম্বর ২০২০

মেঘনায় মহিউদ্দিন হত্যার ১ সপ্তাহেও আসামি গ্রেফতার হয়নি

মেঘনায় মহিউদ্দিন হত্যার ১ সপ্তাহেও আসামি গ্রেফতার হয়নি

নিহত মহিউদ্দিন ও ১ নম্বর আসামি মুজিবসেনা ঐক্যলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান ( বাঁ থেকে)

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় সালিশে পিটিয়ে গোলাম মহিউদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যার এক সপ্তাহেও কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই নাজির বলেন, “গতকাল আমরা ঢাকায় লুৎফরের বাসায় অভিযান চালিয়েছি। বাসা তালাবদ্ধ। আসামি ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।”

জানা যায়, মহিউদ্দিনসহ তার আপন ভাইদের সঙ্গে চাচাতো ভাইদের বাড়ির পাশে আমবাগানের জায়গার সীমানা বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে ১২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ ও মেম্বার আলফাজ উদ্দিনের উপস্থিতিতে মাপজোখ চলছিল। বিষয়টি এক বছর আগেই ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সালিশে মীমাংসার পর্যায়ে চলে আসে। ঘটনার দিন শুধু সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছিল। একই বাড়ির লুৎফর ও শাহ আলমসহ আরো কয়েকজনের জায়গাও ওই স্থানে রয়েছে। সেজন্য তারাও সালিশে উপস্থিত ছিলেন। সালিশে হঠাৎ মহিউদ্দিনের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়ে পড়েন লুৎফর। এক পর্যায়ে লুৎফর হুকুম দিলে তার ভাই-ভাতিজাসহ প্রায় ৩৫/৪০ জন চেয়ার, লাঠি, রড, দা, হাসুয়া দিয়ে এলাপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। মারধরের একপর্যায়ে মহিউদ্দিন অচেতন হয়ে পড়েন। এসব অস্ত্র তারা রাস্তার ওপর রাখা লুৎফরের জিপ গাড়ি থেকে বের করে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মহিউদ্দিনকে মাটিতে ফেলে কয়েকজনে মিলে বুকে ও মাথায় উপর্যুপরি ঘুষি লাথি ও ঘাড়ে হকিস্টিক, রড দিয়ে আঘাত করেন। এসময় মাথায়ও আঘাত পড়ে। মারপিটের একপর্যায়ে মহিউদ্দিন অচেতন হয়ে পড়লে হামলাকারীরা স্পিডবোট নিয়ে পালিয়ে যায়। গাড়িটি নিয়ে ড্রাইভার ইসরাফিল আলী পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় মহিউদ্দিনসহ (৬০), কয়েকজন রক্তাক্ত আহত হলে বেলা ২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুল আলম শিশির মহিউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেছেন, মহিউদ্দিনকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই তিনি মারা গেছেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল ও হামলাকারীদের ঘর থেকে রক্তমাখা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করে।

এ হত্যার ঘটনায় ১৪ নভেম্বর (শনিবার) নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলার দায়ের করেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৮/২০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় এক নম্বর আসামি করা মুজিবসেনা ঐক্যলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানকে।

এদিকে হামলাকারীরা কৌশলে তাদের ঘর থেকে মালপত্র সরিয়ে লুটের মামলা করবে- এরকম গুঞ্জন শুনে মিথ্যা মামলার আতঙ্কে ভুগছেন হামলার শিকার লোকজন। এ আশঙ্কার মধ্যেই গত ১৪ নভেম্বর ২ নম্বর আসামি শাহ আলমের ঘর থেকে মালমপত্র সরাতে যান তার আত্মীয়রা। খবর পেয়ে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা সেখানে যান। ওই মুহূর্তে ভিকটিমের বাড়ি বাড়িতে অবস্থান করা তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই নাজিরও সেখানে যান। ঘর থেকে যেসব মালপত্র নিয়ে যাওয়া হয় তিনি তা লিপিবদ্ধ করে নেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়