News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১৬ অক্টোবর ২০২০
আপডেট: ০৭:২৪, ১৬ অক্টোবর ২০২০

আকবরের দেশত্যাগ ঠেকাতে বেনাপোল সীমান্তে কঠোর নজরদারি

আকবরের দেশত্যাগ ঠেকাতে বেনাপোল সীমান্তে কঠোর নজরদারি

সিলেট কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্ত ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সেজন্য বেনাপোল সীমান্ত জুড়ে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে।

বহুল আলোচিত পুলিশের এ সদস্য যাতে বেনাপোল সীমান্ত ব্যবহার করে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সে লক্ষ্যেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এর আগেও দেশের বহুল আলোচিত অনেক অপরাধী বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করে বেনাপোলে ধরা পড়ে। যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ বন্দরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অধিকতর নজরদারিতে রেখেছে। যাতে বহুল আলোচিত রায়হান হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশের উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে। বৃহস্পতিবার আকবরকে ধরতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সীমান্তের বিভিন্ন ইমিগ্রেশন সেন্টার ও বিজিবি ব্যাটেলিয়ান জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। ফাঁড়িতে পুলিশি হেফাজতে রায়হান আহমদের (৩৪) মৃত্যুর পর থেকে ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর আলী পলাতক রয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।

ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক আকবরকে আলীকে আগে ধরা দরকার। তাকে ধরতে পারলে তদন্তের অগ্রগতি হবে। তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেশের সব ইমিগ্রেশন ও বিজিবি ব্যাটেলিয়ানকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। আকবর যেন কোনোমতেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে।

উল্লেখ্য, শনিবার মধ্যরাতে সিলেট কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্ত ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া রায়হান নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে কোতোয়ালি থানাধীন বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। সকালে তিনি মারা যান। নির্যাতনের সময় এক পুলিশের মুঠোফোন থেকে রায়হানের পরিবারের কাছে কল করে টাকা চাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা সকালে ফাঁড়ি থেকে হাসপাতালে গিয়ে রায়হানের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনার শুরুতে ওই ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ছিনতাইকারী সন্দেহে নগরের কাস্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হয়েছেন বলে প্রচার চালায়। কিন্তু গণপিটুনির স্থান হিসেবে যেখানকার কথা বলেছিল পুলিশ, সেখানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্থাপন করা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় এমন কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনের অফিস ইনচার্জ আহসান হাবিব বলেন, “গতকালই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে ইমিগ্রেশন চত্বর কঠোর নজর রাখা হয়েছে। যাতে করে এ ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন দেশত্যাগ করতে না পারে।”

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, “সীমান্তজুড়ে চেকপোস্টের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের কঠোর সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যেন এই সীমান্ত ব্যবহার করে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন ভারতে পালাতে না পারে।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়