News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৩:৩০, ১৬ অক্টোবর ২০২০
আপডেট: ০৪:২৫, ১৬ অক্টোবর ২০২০

যশোরে ২ যুবককে গলা কেটে হত্যা

যশোরে ২ যুবককে গলা কেটে হত্যা

যশোরের মণিরামপুরে বাদল হোসেন (২৪) এবং আব্দুল আহাদ আলী (২৫) নামে দুই যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া এলাকায় তাদের গলা কেটে হত্যা করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে স্থানীয়রা জানান।

নিহত বাদল হোসেন (২৪) যশোর সদর উপজেলার জয়ন্তা গ্রামের মুক্তার গাজীর ছেলে এবং আব্দুল আহাদ আলী (২৫) একই এলাকার বাসিন্দা।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তারা মণিরামপুর উপজেলার বারপাড়ায় ডিস লাইনের কাজ করছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কে বা কারা তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে বাদলকে মৃত অবস্থায় পায়। আর আহাদকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। আহাদকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে সদরের চাউলিয়া গ্রামের মধ্যে রাতে মৃত্যু হয়।

কারা তাদের হত্যা করেছে এই বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

একটি সূত্রে জানা গেছে, আহাদ আলী এবং বাদল হোসেন ডিস লাইনের কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার নিউ সোনা ব্রিকসের সামনে দিয়ে তারা ঢাকুরিয়ার দিকে যান।

মণিরামপুরের ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রামের মাঠের মধ্যে পৌঁছানো মাত্র অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাদের পথরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করলে তারা ঘটনাস্থলে মারা যান। এরপর তাদের ওই মাঠের মধ্যে ফেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে চলে যায়। পরে পথচারিরা দেখে স্থানীয় লোকজনকে জানায়। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দুজনের রক্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের পাঠান।

বাদলের চাচাতো ভাই মিলন হোসেন বলেছেন, “বাদল একটি নতুন মোটরসাইকেল কিনেছেন। তিনি রূপদিয়া বাজারে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করেন। বাদল ও আহাদ বসুন্দিয়ার জয়ন্তা বাজারে ক্যারামবোর্ড খেলছিল। হঠাৎ বাদলের মোবাইলে কল এলে তারা দুইজনে বেরিয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে বারইপাড়ায় এসে বাদলের মরদেহ দেখতে পাই। সেখানে গিয়ে দেখি বাদলের মোটরসাইকলেটি পড়ে ছিল।”

মনিরামপুর থানার পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম বলেন, “ঘটনা শোনার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে কারা কি কারণে তাদের হত্যা করেছে। সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।”

দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করার জন্য পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়