সাবেক সাংসদ মোজাম্মেলের ব্যাংক নথি তলব

আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুরের (এক) সাবেক সাংসদ এবিএম মোজাম্মেল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে নথি তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিআইএফইউ) মহাব্যবস্থাপক বরাবর এ সংক্রান্ত তলবি চিঠি দিয়েছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
বুধবার দুদক সূত্রে জানা গেছে, তলবি চিঠিতে মোজাম্মেল হক ও তার পরিবারের নামে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে। বি এম মোজ্জাম্মেল হকের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন কাজে অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে ২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের অর্থে নিজেদের পুকুর খননের অভিযোগে দুদকের একটি অনুসন্ধান চলমান ছিল। কমিশনের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় ওই অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হয়।
অভিযোগে রয়েছে, মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় জাজিরা, গোসাইরহাট ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় তিন প্রকল্পের মাধ্যমে ১১ পুকুর ও খাল খনন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ওই জলাশয়গুলোর সবই এমপি, চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতাদের বাড়ির পুকুর। ২০১২-১৩ অর্থবছরে শরীয়তপুরের তিনটি নির্বাচনি এলাকার তিন জন এমপির ডিও লেটারের মাধ্যমে তাদের পছন্দের লোকদের দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩১ লাখ টাকায় নয়টি পুকুর ও দুটি খাল খননের কাজ করানো হয়। গোপালগঞ্জ মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে শরীয়তপুর জেলা মৎস্য বিভাগ এ জলাশয়গুলো নিয়ে তিনটি বিশেষ প্রকল্প ছিল। প্রকল্পগুলো হলো- বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প, অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ এলাকার জনগণের দারিদ্র্যবিমোচন ও জীবিকানির্বাহ নিশ্চিতকরণ প্রকল্প (মঙ্গা প্রকল্প) ও বন্যানিয়ন্ত্রণ ও সেচ প্রকল্প এলাকাসহ অন্যান্য জলাশয়ে সমন্বিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন (এফসিডিআই) প্রকল্প।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস