শীতলক্ষ্যায় কোস্টগার্ড পরিচয়ে ৩ তেলের পাম্পে ডাকাতি

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কোস্টগার্ড পরিচয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান তিনটি তেলের পাম্পে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ডাকাতরা স্পিডবোটে করে পাম্পে এসে নিজেদের কোস্টগার্ডের লোক পরিচয় দিয়ে তেল নেয়ার কথা বলে কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারধর করে টাকা ও মালামাল লুট করে নেয়।
বন্দর থানা পুলিশ ও নৌপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বন্দরের লক্ষণখোলার ওটি নাফিম ফ্লোটিং অ্যান্ড ফিলিংস্টেশনের ক্যাশিয়ার ফজলে রাব্বী জানান, রাত ৩টার দিকে ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল স্পিডবোটে করে পাম্পে আসে।
লাইফ জ্যাকেট পরিহিত ডাকাতরা নিজেদের কোস্টগার্ডের লোক পরিচয় দিয়ে তেল নেয়ার জন্য এসেছে বলে জানায়। পরে তারা পাম্পে নেমে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। এ সময় তারা ক্যাশের চাবি দিতে বলে।
চাবি দিতে অস্বীকার করায় তাকেসহ (ক্যাশিয়ার) অপারেটর মনির হোসেন ও বিল্লাল হোসেনকে মারধর করে ক্যাশবাক্স ভেঙে জ্বালালি তেল বিক্রির এক লাখ ২৫ হাজার টাকা, সিসি ক্যামেরার মনিটর ও মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
একই কায়দায় ঢাকেশ্বরী এলাকার গোদনাইল ফ্লোটিং পাম্পে হানা দেয় ডাকাতরা। এ পাম্পের বাবুর্চি সিদ্দিকুর রহমান জানান, পাম্প অপারেটর শান্ত ও তাকে মারধর করে ক্যাশবাক্স ভেঙে ৫৫ হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল সেট এবং তার গলা থেকে সাড়ে ৪ ভরি ওজনের একটি রুপার চেইন ছিনিয়ে নেয়।
পাশেই নৌপুলিশের একটি দল ট্রলারে টহল দিচ্ছিল। তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডাকাতরা স্পিডবোট নিয়ে পালিয়ে যায়। এর আগে তারা ডেমরার সারুলিয়ার একটি ভাসমান তেলের পাম্পে একই কায়দায় লুটপাট চালায় বলে গোদনাইল পাম্পের ম্যানেজার জানান।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি ফখরুদ্দিন ভূঁইয়া জানান, ডাকাতির খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই খায়েরসহ এক দল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। যেহেতু ঘটনাটি নদীতে ঘটেছে। তাই বিষয়টি নৌপুলিশ দেখবে বলে তিনি জানান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ