News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:২১, ২৯ মে ২০২৫

মার্কিন আদালতে ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিত, তেলের দাম বৃদ্ধি

মার্কিন আদালতে ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিত, তেলের দাম বৃদ্ধি

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরপরই আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের বাজারে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছে। 

বুধবার (২৮ মে) এই আদেশের পর বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি ব্যারেল ৬৫.৭১ ডলারে এবং মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুডের দামও বেড়ে ৬২.৬২ ডলারে পৌঁছেছে।

এই স্থগিতাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শুল্ক আরোপের ক্ষমতার সীমা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। 

আদালতের তিনজন বিচারকের প্যানেল উল্লেখ করেছে, মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া প্রেসিডেন্টের জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে শুল্ক আরোপ করা সংবিধানের পরিপন্থী। 

দুটি পৃথক মামলার ভিত্তিতে এই আদেশ দেয়া হয়েছে — একটি মামলা ছিল একটি আইনি সংস্থা ‘লিবার্টি জাস্টিস সেন্টার’ ও কিছু আমদানি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং অন্যটি যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে। 

আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় রেকর্ড ২৮২০ ডলার

তবে ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে বাজারে এই স্বস্তি সম্ভবত সাময়িক হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

ব্রিসবেনের সিটি ইনডেক্সের বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন বলেন, বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মাঝে এই রায়কে একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখছেন, যদিও তারা এই অনিশ্চয়তাকে পুরোপুরি দূর করে ফেলতে পারেননি।

বিশ্ববাজারে এই রায়ের ফলে একদিকে যেমন বাণিজ্যে স্থিতিশীলতার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তেমনি অপরিশোধিত তেলের চাহিদা বাড়ার আশার সুরও শোনা যাচ্ছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের আপিলের কারণে ভবিষ্যতে এই স্থিতিশীলতা কতক্ষণ টিকবে তা অনিশ্চিত।

অপরদিকে, তেলের সরবরাহের দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে, যা বাজারে সরবরাহ সংকটে প্রভাব ফেলতে পারে। এই বিষয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ রয়েছে, বিশেষত সেই সময় যখন পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ‘ওপেক প্লাস’ আগামী শনিবার তাদের বৈঠকে জুলাই মাসের জন্য তেল উৎপাদন বাড়ানোর সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি উৎপাদন বাড়ানো হয়, তাহলে তা সরবরাহের ঘাটতি কিছুটা কমাতে পারে, কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার সরবরাহ সীমাবদ্ধ হলে তেলের মূল্য বাড়তে পারে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়