নভেম্বরে ওপেনিং ক্লোজিং চালু করবে ডিএসই

স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত ২৫ মিনিট শেয়ার লেনদেনের সুযোগ পাচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা করছে ডিএসই। অবশ্য এই পদ্ধতি চালুর বিষয়ে ২২ অক্টোবর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অনেক আগে থেকে এ ধরনের লেনদেন করার সুযোগ রয়েছে। এ পদ্ধতিতে ক্লোজিং সেশনের কারণে সিএসইতে লেনদেন প্রতিদিন কিছু বেশি হয়।
জানা যায়, ওপেনিং সেশনের কারণে পুঁজিবাজার চালুর আগে একটি শেয়ারের ওই দিনের দর কেমন হতে পারে, সেটির ধারণা পাওয়া যাবে। আবার লেনদেন শেষ হওয়ার পরও চাইলে ক্লোজিং প্রাইসে শেয়ার কেনাবেচার সুযোগ থাকে। তাই দুই সেশন চালু হলে বর্তমানে লেনদেন প্ল্যাটফর্মে যে চাপ রয়েছে, তা কিছুটা কমবে।
ডিএসইর প্রি-ওপেনিং ও ওপেনিং সেশন হবে সকাল ১০টা ১৫ মিনিট থেকে সকাল ১০টা। এ সেশনে বিনিয়োগকারীরা শুধু শেয়ার কেনা বা বেচার আদেশ দিতে পারবেন। এ সেশনে ক্রেতা ও বিক্রেতার ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য মিলে গেলেও স্বাভাবিক লেনদেন সময় শুরুর আগে কোনো লেনদেন সম্পন্ন হবে না। সকাল ১০টায় লেনদেনের শুরুতে যেসব আদেশের দর মিলে যাবে, সেগুলোর শেয়ার স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাতবদল হয়ে যাবে। বাকি সময় বর্তমানের মতো স্বাভাবিক লেনদেন হবে, যা শেষ হবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। এরপর দুপুর আড়াইটায় স্বাভাবিক লেনদেন শেষ হওয়ার পর শুরু হবে ক্লোজিং ও পোস্ট ক্লোজিং সেশন। এর ব্যাপ্তি হবে ১০ মিনিট। এ সময়ে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে কোনো শেয়ার দর প্রস্তাব করতে পারবেন না। শুধু ক্লোজিং প্রাইসে শেয়ার কেনা বা বেচার সুযোগ পাবেন। এ সেশন শেষ হবে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এফএ